Global Ranking: খড়্গপুর আইআইটি দেশের মধ্যে নিজেদের চতুর্থ স্থান ধরে রাখল…
খড়্গপুর আইআইটি। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে (Global Ranking) এক লাফে ৪৯ ধাপ এগিয়ে গেল খড়্গপুর আইআইটি (IIT Kharagpur)। যদিও করোনাকালে এই প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ে উঠেছিল অনেক প্রশ্ন। ২০২২ সালের তুলনায় গত বছরও পিছিয়ে ছিল এই প্রতিষ্ঠান। ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছিল প্রযুক্তি বিদ্যার এই বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানের মান। এইবার ধাপ এগিয়ে যাওয়ায় মান বাড়ল বাংলার। একই ভাবে প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারাও ব্যাপক উচ্ছ্বসিত।
দেশের মধ্যে স্থান চতুর্থ (IIT Kharagpur)
খড়্গপুর আইআইটি (IIT Kharagpur) দেশের মধ্যে নিজেদের চতুর্থস্থান ধরে রেখেছে। সদ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং- ২০২৫’। সেই র্যাঙ্কিংয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানের র্যাঙ্কিং হয়েছে ২২২ তম স্থান। সেই দিক থেকে প্রযুক্তিবিদ্যার অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান ৪৯ ধাপ এগিয়ে গিয়েছে। গতবার খড়্গপুর আইআইটির র্যাঙ্ক ছিল ২৭১। দেশের মধ্যে নিজেদের স্থান ধরে রেখেছে এই আইআইটি। দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গত বছরের মতোই এইবারেও চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলার এই আইআইটি। এই বছরের দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে আইআইটি বম্বে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয়স্থানে রয়েছে আইআইটি দিল্লি এবং আইআইটি বেঙ্গালুরু। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে খড়্গপুর আইআইটি। এই বারে দেশের ১১টি আইআইটির মধ্যে খড়্গপুর আইআইটি রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
এই বিষয়ে খড়্গপুর আইআইটির (IIT Kharagpur) নির্দেশক বীরেন্দ্রকুমার তিওয়ারি বলেছেন, “এই ভাবেই প্রযুক্তিগত সম্প্রসারণের সুযোগ অর্জন ও মানব-মেশিন সমন্বয় তৈরি করতে হবে। আর এই ভাবেই আমরা উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবো।” তবে কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং অনুযায়ী এই মান নির্ধারণ হয়েছিল প্রাতিষ্ঠানিক মান, নিয়োগ-কর্তার মান, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, আন্তর্জাতিক শিক্ষকের সংখ্যা, আন্তর্জাতিক গবেষণা, বিদেশী পড়ুয়ার মতো বেশকিছু মানদণ্ড। খড়্গপুর আইআইটি গত বছর পেয়েছিল ৩৭.৪ শতাংশ নম্বর, আর এইবারে সেই মানদণ্ডে দাঁড়িয়েছে ৪৩.৭ শতাংশ নম্বর।
আরও পড়ুন: কুয়েতের বহুতলে বিধ্বংসী আগুনে মৃত মেদিনীপুরের দ্বারিকেশ!
খড়্গপুর আইআইটির (IIT Kharagpur) কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের এক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বলেছেন, ‘‘আমাদের আইআইটি আন্তর্জাতিক এই কিউএস র্যাঙ্কিং (Global Ranking) অনেক এগিয়ে গিয়েছে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত খুশি খবর। কিন্তু যদি এক-একটি মানদণ্ড বিশ্লেষণ করা যায়, তা হলে দেখা যাবে কয়েকটি জায়গায় আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। আগামী দিনে ছাত্র-শিক্ষক-গবেষক সকলকে আরও ভালো কাজের কথা নিয়ে ভাবতে হবে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।