Illegal hawker: বিচে বসবেনা আর অস্থায়ী দোকান, সিদ্ধান্ত দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের
দিঘায় উচ্ছেদ করা হচ্ছে অবৈধ দোকান। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ দীর্ঘ দিন ধরেই সৈকত নগরী দিঘার (Digha) সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে উদ্যোগী হয়েছে। এবার সমুদ্র সৈকতের অবৈধ হকার উচ্ছেদে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে এই পর্ষদ। রাস্তার পাশে থাকা ঝুপড়ি, অস্থায়ী দোকানঘর উচ্ছেদে কড়া অবস্থান নিয়েছে। যদিও আগে থেকে প্রশাসনের তরফ থেকে উচ্ছেদ করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সোমবার এই উচ্ছেদের সময় পর্ষদের আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল দিঘা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে হেড ক্লার্ক চন্দন কুমার জানিয়েছেন, “সমুদ্র সৈকতে বা বিচে আর কোনও অস্থায়ী দোকান রাখা যাবে না। তাই দিঘার (Digha) বিচ বরাবর হকারদের তুলে দেওয়া হচ্ছে। বেঞ্চে করে যারা ডাব বিক্রি করে, তাদের আজ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন এবং পর্ষদ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে বিচের মধ্যে আর কাউকে বসতে দেওয়া হবে না।”
আরও পড়ুনঃ তানিয়ার পর মহম্মদ হাবিবুল্লা, কাঁকসা থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার!
সৈকত নগরীকে সুন্দর করে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। দিঘায় (Digha) তৈরি হচ্ছে পুরীর আদলে জগন্নাথদেবের মন্দির। মন্দিরের উদ্বোধন হলে দর্শনার্থী এবং সমুদ্রে পর্যটকদের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। দিঘার মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হবে এই মন্দির। নিউ দিঘা ও ওল্ড দিঘা পর্যন্ত সমুদ্র সৈকত এবং রাস্তার দুই ধারে অবৈধ দখল সরাতে প্রশাসন এই কাজে নেমেছে। যদিও এখন সারা বছরই এই দিঘায় প্রচুর দর্শনার্থী থাকে। পরিবেশের ভারসাম্য এবং বাস্তুতন্ত্র ঠিক রাখতে এই কাজের প্রতি নজর দিয়েছে প্রশাসন। তবে এই বর্ষায় পর্যটকের প্রচুর ভিড় বাড়তে শুরু করেছে দিঘায়। সমুদ্রের বিচে চা, মাছ ভাজা, শঙ্খের জিনিস ও ডাবের দোকান সহ একাধিক পেশার মানুষকে রোজগার করতে দেখা যায়। কিন্তু এই উচ্ছেদের ফলে অনেক মানুষ দারুণ ভাবে প্রভাবিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের এই পদক্ষেপে হকারদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।