নদিয়ায় বেআইনি অস্ত্র কারখানা উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চাল্য…
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ। উদ্ধার করা হল বন্দুক সহ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে একজন। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) থানাপাড়া এলাকার সাহেব পাড়ায় একটি বাড়িতে বেআইনি ভাবে অস্ত্র তৈরি করার কারখানার খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশ। ধৃতের নাম হল বজলু শেখ। গ্রেফতার করে তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক পুলিশে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।
নদিয়া পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) সাহেব পাড়ায় একটি বাড়িতে বেআইনি ভাবে অস্ত্র নির্মাণে কাজ চলছিল। এই খবর গোপন সূত্রে আসে পুলিশের কাছে। এরপর এখানে হানা দিয়ে একটি একনলা বন্দুক সহ আরও একাধিক অস্ত্র উদ্ধার হয় ওই বাড়ি থেকে। বাড়িতেই ছিল অস্ত্র তৈরির কারখানা। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। বাড়িতে সেই সময়ে উপস্থিত ছিল বজলু। পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে।” কিন্তু কীভাবে এই অবৈধ অস্ত্র নির্মাণের কাজ চলছিল তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সীমান্তের ওপারের অস্ত্রকারবারিদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা নিয়েও রীতিমতো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
নদীয়া (Nadia) পুলিশের পক্ষ থেকে তেহট্ট এসডিপিও শুভতোষ সরকার বলেন, “অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করেছে। অভিযুক্তের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।” তবে ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
এলাকার (Krishna Nagar) মানুষের প্রশ্ন প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে এই বাড়িতে অস্ত্র রাখা হয়েছিল। বাড়িতে নির্মিত কারখানায় অস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার মানুষ। এমনিতেই নদিয়া জেলার একপাশে বাংলাদেশ সীমান্ত, ফলে এই অস্ত্র বাংলাদেশে পাচার হবে না তো? আবার সামনেই লোকসভার ভোট তাকে প্রভাবিত করার জন্য অস্ত্র মজুত করা হয়তেছিল কিনা, তাই নিয়েও এলাকার মানুষ দারুণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেশী অস্ত্র এবং বোমার ব্যবহারে রাজনৈতিক হিংসার খবরে শিরোনাম হয়েছিল নদিয়া জেলা। তাই এলাকার মানুষ আতঙ্কিত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।