হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে, এই দিনটির মাহাত্ম্য অনেক বেশি
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখী পূর্ণিমার পবিত্র তিথিতে জন্মগ্রহণ করেন ভগবান বুদ্ধ। হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে, এই দিনটির মাহাত্ম্য অনেক বেশি। বিশ্বাস মতে, এদিন সমুদ্র মন্থনে উঠে এসেছিলেন দেবী লক্ষ্মী। স্কন্দপুরাণ অনুসারে, গৌতম বুদ্ধ হলেন ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার। চলতি বছরে ঘটনাক্রমে বুদ্ধ পূর্ণিমা (Buddha purnima 2023) এবং চন্দ্রগ্রহণ একই দিনে পড়েছে। ঋষিকেশ পঞ্চাঙ্গ অনুসারে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ আজ অর্থাৎ ৫ মে, বৈশাখী পূর্ণিমার দিন। শাস্ত্রকারদের মতে, এই চন্দ্রগ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না, তাই এখানে এর তেমন অশুভ প্রভাবও পড়বে না।
বছরের প্রথম এই চন্দ্রগ্রহণকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ বা উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ। অর্থাৎ, যখন পৃথিবীর সরাসরি ছায়া চাঁদের উপর পড়ে না, তখন এটি একটি পেনমব্রাল চন্দ্রগ্রহণ বলে বিবেচিত হয়। বিজ্ঞানীদের কথায়, পৃথিবী, সূর্য ও চাঁদের কক্ষপথ একই তলে নেই, তাই পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। জ্যোতিষীর মতে, ভারতে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না। সাধারণত সূতক সময় শুরু হয় চন্দ্রগ্রহণের ৯ ঘণ্টা আগে। কিন্তু ভারতে এই গ্রহণের কোনও প্রভাব না থাকায় এর সূতক সময়ও কার্যকর হবে না। বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ইউরোপ, মধ্য এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, অ্যান্টার্কটিকা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে দেখা যাবে। চন্দ্রগ্রহণের সময় বিশেষ কিছু বিধি নিয়ম মেনে চলতে হয়, একেই বলে সূতক সময়।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়েছে ৪ মে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৪ মিনিট থেকে এবং শেষ হবে শুক্রবার, ৫ মে রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে। উদয় তিথি অনুযায়ী ৫ মে শুক্রবার বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হবে।
হিন্দু এবং বৌদ্ধ দুই ধর্মমতেই সাদরে পালিত হয় এই দিনটি
১) ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha purnima 2023) দিন ভোরবেলা স্নান করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২) এই দিনটিতে অনেকেই দান-ধ্যান করেন, যারা দরিদ্র তাদের খাওয়ান।
৩) প্রতিবছর এই দিনে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় বুদ্ধগয়া-য়।
১) ভগবান বুদ্ধের ভক্তরা এদিন ভোরে উঠে পবিত্র স্নান সেরে তাঁর জন্মবার্ষিকী পালন শুরু করেন।
২) এদিন ঘর পরিষ্কার করা হয় এবং চারিদিকে গঙ্গা নদীর পবিত্র জল ছেটানো হয়। ফুল এবং পাতা দিয়ে বাড়ি সাজানো হয়।
৩) বাড়ির প্রবেশপথে হলুদ, কুমকুম এবং গঙ্গাজল দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হয়, যা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র চিহ্ন হিসেবে বিবেচিত।
৪) বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয় এবং বৌদ্ধধর্ম অনুসরণকারীরা এই দিনে বুদ্ধগয়া-তে যান।
৫) বোধি গাছের উপাসনা করা হয়।
৬) রঙিন পুষ্পমালা গাছে বাঁধা হয় এবং ভক্তরা গাছের গোড়ায় দুধ ও জল ঢালেন।
৭) এই শুভ তিথিতে দরিদ্রদের খাবার ও পোশাক দান করা হয়।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞের মতামত নিন এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।