Victims Family: “ধৃত সিভিক একা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়”, আদালতে দাবি অভয়ার বাবা-মায়ের…
আরজি কর হত্যাকাণ্ডে ধৃতের ফাঁসির দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একজনের পক্ষে অসম্ভব!” আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) চিকিৎসক-তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার পরিবার (Victims Family) এবং আসামিপক্ষ কার্যত একই সুরে জানাল আদালতে। শনিবার শিয়ালদা আদালতে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের সর্বোচ্চ সাজার আবেদন জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। ৫৭ পাতার একটি লিখিত বক্তব্যে বিচারকের কাছে এই আবেদন করেছেন তাঁরা।
ধর্ষক এবং খুনির ফাঁসির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার (RG Kar Case)। আদালতে হাজির ছিলেন অভয়ার বাবা-মা। শুনানিতে প্রশ্ন করেছিলেন ধৃত সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীও। তবে দুই পক্ষের বক্তব্যে অমিল থাকলেও একটি বিষয়ে তারা একমত যে এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পিছনে কোনও একজন ব্যক্তির হাত ছিল না। মামলার তদন্তে প্রথমে পুলিশ এবং পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, দুই ক্ষেত্রেই প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে একজনের নামই উঠে এসেছে। এই সিভিক ভালান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে চার্জশিটে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিবিআই আরও জানিয়েছে, আরও যারা যারা ঘটনার পিছনে রয়েছে তাদের সম্পর্কে খোঁজ করে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
অভিযুক্ত কি একজন, নাকি একাধিক? এই নিয়ে দিল্লির এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে মতামত জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, একজনের পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। নির্যাতিতার শরীরে (RG Kar Case) যে সব আঘাত পাওয়া গিয়েছে তাতে ঘটনার পিছনে একাধিক ব্যক্তি রয়েছে। আবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সংগৃহীত তথ্যপ্রমাণকে এক সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে ঠিক কতজন এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
আরও পড়ুনঃ মহিলা চিকিৎসককে দ্বিতীয় ‘অভয়া’ করে দেওয়ার হুমকি হাসপাতাল সুপারের
নির্যাতিতার (RG Kar Case) আইনজীবী অমর্ত্য দে বলেন, ‘‘এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত রয়েছেন, তা প্রকাশ্যে আসুক। আর কেউ জড়িত কি না, তা-ও উঠে আসুক তদন্তে।’’ একই ভাবে পরিবারের (Victims Family) পক্ষে দাবি, “ধৃত সিভিক একা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়, নেপথ্যে আরও অনেক লোক রয়েছে। ঘটনার আরও তদন্ত করা হক। কারা কারা যুক্ত খুঁজে বার করে চার্জশিট জমা দেওয়া হোক।”
অপর দিকে ধৃতের আইনজীবী আদালতে শুনানির সময় দাবি করেন, “সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং সিসিটিভির সাপেক্ষে বলা যায় একজনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। পিছনে অনেকে রয়েছে। ধৃত এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।