img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Weed Farming: দোষ প্রমাণ হলে কারাবাস! তবুও লাভের আশায় রমরমিয়ে চলছে গাঁজার চাষ

রাজ্যে চাষের ফসলে দাম নেই! ঝুঁকি নিয়েই চলছে অবৈধ গাঁজার চাষ...

img

প্রতীকী চিত্র।

  2023-12-24 18:37:17

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোষ প্রমাণ হলে যাবজ্জীবন কারাবাস। কিন্তু সব জেনেও লাভের আশায় প্রতিবছর গাঁজার চাষ (Weed Farming) করেন কোচবিহারেরে চাষিরা। মামলা হয় অনেকের নামে, এমন কী পুলিশ গ্রেফতার করেও নিয়ে যায়। তারপরও বেশি পয়সার জন্য এই অবৈধ ভাবে রমরমিয়ে গাঁজার চাষ করতে বাধ্য হন চাষিরা। রীতিমতো দরমার বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখে, কিছুটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয় গাঁজা চাষের জমিকে। নিরুপায় কিন্তু পেট চালানোর জন্য এই ভাবেই কোচবিহারে চলছে অবৈধ গাঁজার চাষ।

চাষিদের বক্তব্য (Weed Farming)

কোচবিহারেরে একচাষি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, “এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে আয় হয় মাত্র পাঁচ হাজার টাকা, আবার ওই জমিতেই গাঁজা চাষ (Weed Farming) করে আয় হয় সাত লক্ষ টাকা। এরপর এই গাঁজা চলে যায় অন্য রাজ্যে। রাজ্যে চাষের ফসলে সঠিক দাম না পাওয়ার জন্যই এইভাবে লুকিয়ে চাষ করে থাকি আমরা।”

প্রশাসনের বক্তব্য

কোচবিহার আবগারি দফতরের জেলা জেলার সুপারিনটেন্ডেন্ট সাঙ্গে ডোমা ভুটিয়া বলেন, “অতিরিক্ত লাভের আশায় অনেক চাষি গাঁজার (Weed Farming) চাষ করেন। কিন্তু এটা পুরোপুরি বেআইনি। তাই পদক্ষেপ বেশ কড়া নিতে হয় আমাদের।” আবার কোচবিহার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, এখনও পর্যন্ত জেলায় তিন হাজার বিঘা গাঁজার চাষ নষ্ট করা হয়েছে।”

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই গাঁজা চাষের পিছনে চাষিদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ থাকে না, এর পিছনে একটি বিরাট চক্র কাজ করে। গাছ লাগানো থেকে শুরু করে, গাছ পরিচর্যা ইত্যাদির জন্য আগে থেকে চাষিদের হাতে টাকা দেওয়া হয়। এমনকি গাছ পরিণত হওয়ার আগেই লাভের বেশির ভাগ টাকা চলে যায় ওই পাচারচক্রীদের কাছে। কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি থেকে পাইকারীরা গ্রামের চাষিদের টাকা দিয়ে গাঁজা কিনে নেয়। লাভের টাকা তেমন ভাবে চাষিরা পান না। তবে শাস্তির সম্মুখে পড়তে হয় কেবল চাষিদেরই।

গাঁজা চাষ বছরের দুইবার হয়

সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঁজা চাষ (Weed Farming) বছরে দুইবার হয়। একটি আষঢ়ি অপরটি হেমতি। ভালো মানের চাষ আষাঢ় মাসেই হয়ে থাকে। তবে এখন মণিপুরের এক রকমের দামে বেশি এক প্রকার গাঁজার চাষ হচ্ছে কোচবিহারে। কোচবিহারের তোর্সা, মানসাই, ধরলা, কালজানি নদীর দু’ধারের জমিতে চাষ হয় গাঁজা। তাই রাজ্যের কৃষি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, "রাজ্য সরকারকে চাষিদের খাদ্যশষ্য চাষের দিকে উৎসাহী করতে হবে।" 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

bangla news

Bengali news

Madhyam

Farmers

cooch behar

Weed Farming

guilty


আরও খবর


ছবিতে খবর