img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Bankura: জন্মের পর থেকেই কন্যাসন্তান রোগগ্রস্ত, অবসাদে হাসপাতালেই আত্মঘাতী মা

সদ্যোজাত কন্যা ভেন্টিলেশনে, প্রসূতি বিভাগেই আত্মঘাতী মা…

img

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। সংগৃহীত চিত্র।

  2023-12-25 18:52:45

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মের পর থেকেই রোগে আক্রান্ত নিজের সন্তান। এই কারণে মায়ের মন সব সময় উৎকণ্ঠায় থাকে। আরোগ্যের কোনও রকম আশার আলো দেখতে পাচ্ছিলেন না। আর সেই সময় থেকেই সন্তানের জন্য মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মা। অবশেষে উপায় না পেয়ে হাসপাতালের মধ্যেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া (Bankura) সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর (Bankura)

হাসপাতাল (Bankura) সূত্রে খবর, মৃতার নাম পায়েল সিংহ। পুরুলিয়ার আদ্রার কাছে বেঁকো গ্রামে বাড়ি। ২০ ডিসেম্বর তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখানেই একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু জন্ম দেওয়ার পর থেকেই শিশুটিকে সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট বিভাগে পাঠানো হয়। এরপর অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হলে সদ্যোজাতকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। কিন্তু মৃতার মানসিক স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো ছিল না। তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে খবর ছিল।

তিনতলার ছাদে উদ্ধার দেহ

সোমাবার সকালে পায়েল নিজের মাকে হাসপাতালের (Bankura) গেটের বাইরে এক আত্মীয়কে আনতে যেতে বলেন। মা হাসপাতলের বাইরে গিয়ে আবার ফিরে এলে পায়েলকে বেডে দেখতে পান না। এরপর এদিক-ওদিকে খোঁজ করেন। অগত্যা না পেয়ে ওয়ার্ডে মাইকিং করা হয়। অবশেষে প্রসূতি বিভাগের তিনতলায় সিঁড়িতে ওঠার শেষ ধাপে রেলিংয়ে দেখা যায় গালায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে পায়েলের নিথর দেহ।

পুলিশের তদন্ত

এরপর জানাজানি হতেই বাঁকুড়া (Bankura) সদর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে মানসিক অবসাদের কারণেই তিনি আত্ম্যহত্যা করেছেন। পুলিশ এরপর অস্বাভাবিক একটি মামলা রুজু করে মৃত্যুর তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে।

পরিবারের বক্তব্য

এই আত্মহত্যার ঘটনায় হাসপাতালের (Bankura) নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে। কিন্তু সিসিটিভি, নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। মৃতার স্বামী বিজয় সর্দার বলেন, “কারও সঙ্গে কোনও ঝগড়া হয়নি। প্রসবের পর থেকেই আমার স্ত্রী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। হাসপাতালের নজরদারি ঠিক থাকলে আজ আমার স্ত্রীকে আত্মহত্যা করতে হত না।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

bangla news

Bengali news

Depression

Suicide

Bankura

Madhyam

hospital

mother

child

bankura sammilani medical college


আরও খবর


ছবিতে খবর