তুষারপাত দেখার জন্য পাহাড়ে পর্যটকদের রেকর্ড ভিড়…
শীতের দার্জিলিং। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই শীতে তিলধরার জায়গা নেই। হোটেল, হোমস্টেগুলিতে পর্যটকদের রীতিমতো মাথা গোজার ঠাঁই নেই। তুষারপাত দেখার জন্য পাহাড়ে পর্যটকদের রেকর্ড ভিড়ে ঠাসা। এই অবস্থায় এগিয়ে এসেছেন সাধারণ পাহাড়বাসী। বিনামূল্যেই পর্যটকদের জন্য ঘরের দরজা খুলে দিয়েছেন দার্জিলিংবাসীরা (Darjeeling)। এই মানবিকগুণে পর্যটকরা ভীষণ খুশি।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) এবার মাত্রা ছাড়া ভিড়। কালিম্পং, সিকিম-সহ উত্তরের হিমালয়ে ব্যাপক ভাবে পর্যটকদের সমাগম ঘটেছে। গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে এই ভিড়ের যাত্রা শুরু হয়েছে। কার্যত অনেক আগেই হোটেল বুকিং বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে সব হোমস্টেগুলি ছিল তা সব এখন হাউসফুল। পর্যটকদের যাতে বিপাকে পড়তে না হয় তাই সাধারণ নাগরিকরা নিজেদের ঘরের দরজা খুলে দিয়েছেন বিনামূল্যে।
দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) এবার শীতে পড়তে শুরু করবে তুষারপাত। ফলে পাহাড়ে ফাঁকা জায়গা নেই। প্রচুর পর্যটকের ভিড় যে হবে তা অবশ্য আগেই বলা জানানো হয়েছিল। বাড়তি পর্যটকেরা রাতের ঠান্ডায় কীভাবে রাত কাটাবেন তাই নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। প্রবল শীতে খোলা আকাশের রাত অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই অবস্থায় পাহাড়ের দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা নীলিমা তামাং, কারশিয়াঙের বাসিন্দা অলোক প্রধান, কালিম্পংয়ের বাসিন্দা ইয়েলবং -সহ প্রমুখ এলাকার মানুষেরা মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কোনও রকম টাকা না নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে মানবিক দৃষ্টান্তের নজির গড়লেন তাঁরা।
ইকো ট্যুরিজম দফতরের চেয়ারম্যান রাজা বসু বলেন, “পাহাড়ে (Darjeeling) মানুষ এখন গিজগিজ করছে। হোটেলগুলি কার্যত পর্যটকে পরিপূর্ণ। থাকার সমস্যায় দার্জিলিংয়ের মানুষেরা এগিয়ে এসেছেন। গ্রামেরবাসীরা বিনামূল্যের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’ আবার হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “আগেও পাহাড়ে ভিড় দেখেছি। কিন্তু করোনার পর এই প্রথম এতো ভিড়। আগাত পর্যটকদের জন্য পাহাড়ের সাধারণ মানুষ অত্যন্ত মানবিক পরিচয় দেখিয়েছেন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।