"রাজ্যে যত কেলেঙ্কারি হচ্ছে, তার মাথায় মাননীয়া", মমতাকে তোপ দিলীপের...
দুর্গাপুরের অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ এবং লক্ষ্মণ ঘোড়ই। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: "ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে।" দুর্গাপুরের গোপালমাঠে চায়ে পে চর্চার অনুষ্ঠানে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে দুর্গাপুরের কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, "রাজ্যে যত কেলেঙ্কারি হচ্ছে, তার মাথায় মাননীয়া। যদি সবার শাস্তি হয় তাহলে কেন নয় মুখ্যমন্ত্রীর? তাই অপেক্ষা করুন, সব কেলেঙ্কারির তথ্য এবার সামনে আসবে।" তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশির ভোট না পেলে তৃণমূল জিতবে না। বাংলাদেশের ওপর ভর করে তৃণমূল বেঁচে আছে।" সেই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, “মহুয়া সংসদে ইংরেজিতে গালিগালাজ করেন, টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করেন। লিপস্টিক, পাউডার, স্নো নিয়েছেন।”
পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত (Durgapur)
দুর্গাপুরের জনসভায় বনগাঁর তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যকে ঘিরে দিলীপ ঘোষ কড়া সমালোচনা করেন। শুক্রবার বারাসতের জনসভায় বাংলাদেশিদের ভোটার কার্ড করে দেওয়ার প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস মন্তব্য করেছিলেন। শনিবার দুর্গাপুরের মায়াবাজার এলাকায় বিজেপির একটি কার্যালয়ে বিজায় সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে এদিন বিকেলে ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ দিলীপ ঘোষ যোগদান করেন। সেই সঙ্গে একটি জনসভাও করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ই। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "বাংলাদেশিদের ভোট না পেলে তৃণমূল জিতবে না। ওখান থেকে ভোটের প্রচার করতে খালি ভোটার নয়, নায়ক-নায়িকাদেরও নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশ থেকে টাকা আসছে, সোনা আসছে অনেক কিছু চলছে তৃণমূলের রাজত্বে। তার মধ্যে ভাগও আছে তৃণমূলের নেতাদের। সেই জন্য বাংলাদেশের ওপর ভর করে তৃণমূল জিততে চাইছে। আমরা বারবার বলছি, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। রত্না বিশ্বাস তারই উজ্জ্বল প্রমাণ।"
মহুয়ার পাপের ঘড়া পূর্ণ!
দুর্গাপুরে (Durgapur) সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলাদেশিদের ভোটার কার্ড করার সমালোচনার পর, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বলেন, “ছবি দেখুন আপনারা। তাঁর কালো চশমার দাম জানেন? দুই লাখ টাকার গগলস! ভ্যানিটি ব্যাগের দাম এক লাখ টাকা! ঘড়ির দাম তিন লাখ টাকা! শুনেছেন কোনও দিন। সবই উপহার নিয়েছেন। তাঁর দিল্লির কোয়ার্টারে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সংস্করণ করেছেন। বিনিময়ে দেশের সুরক্ষাকে বিক্রি করছেন মহুয়া। ওঁর পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এবার সিবিআই তদন্ত শুরু করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন জিনিস তৈরি করে দিল্লিতে পাঠিয়ে বাংলার নাক-কান কেটেছেন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।