কোন্নগরে শিশু হত্যাকাণ্ডে স্বামীর স্পষ্ট দাবি, স্ত্রীর যেন ফাঁসি হয়…
বিচার চেয়ে পোস্টার শ্রেয়াংশু শর্মার। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) কোন্নগরে সন্তান হত্যাকাণ্ডে ধৃত মা এবং তাঁর বান্ধবীর হয়ে আদালতে সওয়াল করতে রাজি হননি কোনও আইনজীবী। স্বামীর অবশ্য স্পষ্ট দাবি, তাঁর স্ত্রীর যেন ফাঁসি হয়। আজ বুধবার দুপুরে শান্তা শর্মা এবং ইফফাক পারভিনকে তোলা হয় শ্রীরামপুর আদালতে। তদন্তের জন্য দুই জনকেই পুলিশ হেফাজতে চেয়েছে। আদালতে প্রশ্ন-উত্তরের পর ধৃত দুই জনকেই পুলিশের হেফাজতে নির্দেশ দেন বিচারক। ইতিমধ্যে হত্যার বিচার চেয়ে পোস্টার পড়েছে এলাকায়।
শ্রীরামপুর (Hooghly) আদলাত থেকে বেরিয়ে এদিন শিশু শ্রেয়াংশু শর্মার বাবা পঙ্কজ বলেন, “অপরাধীদের কঠিন শাস্তি চাই। যে খুন করেছে আমি চাই সব থেকে কঠিন শাস্তি হোক তার। ফাঁসি চাই। ১৩-১৪ বছর সাজা হলে আবার বেরিয়ে আসবে। এরা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।”ছেলের মৃত্যু প্রসঙ্গে বাবা আরও বলেন, “ঘরের পাশে সিঁড়ির পাশে থাকা ইট, টেবিলে রাখা গণেশ মূর্তি দিয়ে আঘাত করে করা হয় ছেলেকে। এরপর রান্নাঘরের মধ্যে থাকা সব্জি কাটার ছুরি দিয়ে ছেলের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করে খুনিরা।” তবে শিশুর মা বলেন, “নিজের ছেলেকে কেউ মারতে পারেনা।” তাঁদের একমাত্র ছেলের খুন কেন হল সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজ করছে পুলিশ।
কোন্নগরের (Hooghly) আদর্শনগরের আট বছরের শিশুহত্যার ঘটনায় একাধিক নানান রহস্য রয়েছে। তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য, “সম্পর্কের টানাপড়নের শাস্তি পেতে হয়েছে ওই শিশুকে। শিশুর মা এবং তার বান্ধবীর মধ্যে ছিল সমকামিতার সম্পর্কের সমীকরণ। তবে ঠিক কী কারণে শিশুকে খুন করা হয়েছে এই নিয়ে তদন্ত আরও বাকি রয়েছে।”
১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ সন্ধ্যা বেলায় শ্রেয়াংশু খুন হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার সময় বাবা এবং মা দুই জনেই ছিল না। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাবা বাড়িতে পৌঁছান। কিন্তু হাসপাতালে (Hooghly) নিয়ে যেতেই মৃত্যু হয় শিশুর। যদিও প্রথমে বাবার দাবি ছিল কেউ তাঁর ছেলেকে খুন করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।