ফের হাওড়ায় তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে শোরগোল…
বাঁ দিকে সুজয় চক্রবর্তী এবং ডান দিকে মনোজ তিওয়া। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক দিন আগে হাওড়ায় (Howrah) শিবপুরের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কার্নিভাল নিয়ে রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি এবং হাওড়া পুরসভার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। সেই সময়ে দ্বন্দ্ব সামলাতে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এবার ফের একবার রাস্তা সংস্কারের কাজ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে ফের শোরগোল পড়েছে। উল্লেখ্য রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের মধ্যে মমতা-অভিষেককে ঘিরে পুরাতন-নতুন দ্বন্দ্ব নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। শাসক দলের নবীন-প্রবীণ নেতার একে অপরের পক্ষাবলম্বন করে বক্তব্য রাখছেন তথা অবস্থান স্পষ্ট করছেন। ফলে এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি বেশ সরগরম।
শিবপুর (Howrah) বিধানসভার অন্তর্গত সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে শিবপুরে যেতে এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতু আসার এটি ঘোষ রাস্তায় দীর্ঘদিন বেশ অকেজো হয়ে পড়েছিল। গত একমাস আগে এই রাস্তার কাজ শুরু করে পুরসভা। এই রাস্তা সংস্কারের সাফল্য কার, এই নিয়ে একে অপরের মধ্যে প্রতিযোগিতার লড়াই শুরু হয়েছে।
রাস্তার কাজ চলায় পাশের দেওয়ালে দুই নেতার ফ্লেক্সকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতার ছবির পাশে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির ছবি দিয়ে লেখা রয়েছে, “বিধায়ক মনোজ তিওয়ারির ঐকান্তিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায়, হাওড়া (Howrah) মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের সহযোগিতায় এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে।” পালটা পুরপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তীর একটি ছবির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগিয়ে অপর আরেকটি ফ্লেক্সে লেখা হয়, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এবং হাওড়া পুরনিগমের মাননীয় প্রশাসক ডা. সুজয় চক্রবর্তী মহাশয়ের আন্তরিক উদ্যোগে নিগমের আর্থিক সহায়তায় ৪৭ নম্বরের রাস্তা মহিয়ারী রোড থেকে এটি ঘোষ ব্রিজের তলা পর্যন্ত নতুন করে সিমেন্ট-কংক্রিট রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হল।” মন্ত্রীর বিপরীতে পালটা এই পুরপ্রশাসকের ফ্লেক্সে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনায় শাসক দল অত্যন্ত অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছে।
মনোজ ঘনিষ্ঠ হাওড়ার (Howrah) স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন, “এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে ছিল। এলাকার বিধায়ক হিসাবে মনোজ তিওয়ারির কাছে রাস্তা সারানোর কথা জানানো হয়েছিল। অভিযোগ পেয়ে মন্ত্রী রাস্তা পরিদর্শন করেন। এরপর হাওড়া পুরসভার কাছে রাস্তা সংস্কারের জন্য দাবি জানানো হয়। এই দাবি নিয়েই হাওড়া পুরসভা কাজ শুরু করেছে।”
হাওড়া (Howrah) পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “বেহাল রাস্তার কথা জেনেই প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী নিজের উদ্যোগে এই রাস্তার সংস্করণ করিয়েছেন। আর এই কারণেই ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে।” এই রাস্তাকে ঘিরে দ্বন্দ্বের কথা না মানতে চাইলেও এলাকার মানুষের দাবি দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর কোন্দল আরও একবার স্পষ্ট হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।