ময়নাগুড়িতে মা-ছেলের রহস্যজনক মৃত্যু…
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়ানজুলির পাশেই পড়ে রয়েছে ছেলের দেহ, আবার ঘরের মধ্যেই উদ্ধার মায়ের নিথর দেহ। এই রহস্য জনক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়িতে। দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ না জানা গেলেও প্রতিবেশীর অনুমান মা-ছেলেকে কেউ পরিকল্পনা করে খুন করেছে।
মাছ ধরতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু ঘটেছে ছেলের। আর প্রতিবেশীরা এই ছেলের মৃত্যুর ঘটনার কথা মাকে জানাতে গিয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন মা ঘরের (Jalpaiguri) মধ্যেই পড়ে রয়েছেন। বাইরে থেকে ডেকেও উত্তর মিলছিল না। অবশেষে জানা গেল মায়েরও মৃত্যু ঘটে গিয়েছে। এরপরেই ব্যাপক রহস্যের দানা বেধেছে। মা-ছেলের জোড়া মৃত্যুর কারণ কী? খুনের ঘটনা নয় তো?
স্থানীয় (Jalpaiguri) সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম পরিমল বর্মণ। মৃত মায়ের নাম টুলটুলি বর্মণ। বাড়ি হল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। পেশায় একজন হোমগার্ড ছিলেন পরিমল। সোমবার রাতে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য বের হন যুবক কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরতে পারেন নি। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে নয়ানজুলির পাশ থেকে মৃত দেহ উদ্ধার হয় যুবকের দেহ। যদিও মৃতদেহ উদ্ধারের পর তাঁর মাথার পেছনে বড় একটা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। অনুমান করা হচ্ছে তাঁকে খুন করা হয়েছে।
ঘটনায় স্থানীয় (Jalpaiguri) প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, “মৃত ছেলের দেহ উদ্ধারের পর মাকে জানাতে এসে প্রথমে বাড়িতে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ডাকাডাকি করেও কোনও উত্তর মিলেনি। এরপর ঘরে ঢুকে রীতিমত অবাক হয়ে যান প্রতিবেশীরা। দেখা যায় ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছেন টুলটুলি বর্মণ। শরীরে তাঁর প্রাণ নেই।” তবে এই মা-ছেলের মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীদের অনুমান দুই জনকেই খুন করা হয়েছে। যদিও কে বা কারা করেছে সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। এই রহস্য জনক মৃত্যু ঘটনায় ময়নাগুড়ি থানা থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।