আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই সরস্বতী পুজো, ভাঙা হল একাধিক প্রতিমা...
বহরমপুরে ভাঙা হয়েছে সরস্বতীর মূর্তি। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা কয়েকদিন। তার পরেই সরস্বতী পুজো। রাতের অন্ধকারে ঘটল দুষ্কৃতীদের ব্যাপক তাণ্ডব! এবার ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল সরস্বতী প্রতিমা। প্রতিমা শিল্পীদের একেবারে মাথায় হাত। ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সদর শহর বহরমপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সার্কিট হাউসের উল্টো দিকে। এই নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে প্রতিমা গড়তে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। বেশির ভাগ প্রতিমা সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে গিয়েছিল, শুধু রং করা বাকি। আর এই অবস্থায় প্রতিমাগুলিকে সারি সারি ভাবে সাজিয়ে রাখা ছিল দোকানে। রাতের অন্ধকারে এই প্রতিমাগুলিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। শিল্পীরা সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন বেশিরভাগ প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে মূর্তিগুলিকে ভাঙচুর করেছে, সে সম্বন্ধে কিছু জানা যায়নি। এরপর মৃৎশিল্পীরা অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনকে খবর দিলে বহরমপুর (Murshidabad) থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রীতিমতো জিজ্ঞাসবাদ শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বহরমপুরের (Murshidabad) মৃৎশিল্পী শ্রীদাম হালদার বলেন, “মাঝে মাঝে একটা, দুটো প্রতিমা গরু এসে ভেঙে দিত। কিন্তু গতকাল রাতে এক লাইন ধরে রাখা সমস্ত সরস্বতীর মূর্তিকে ভেঙে দিয়েছে। আমাদের অভাবের সংসার। এই মাটির মূর্তি তৈরি করে বিক্রি করে আমাদের সংসার চলে। সামনেই পুজো, অর্ডার নেওয়া হয়েছে। কী করব বুঝতে পারছিনা। যারা এই কাজ করেছে তাদের শাস্তি চাই।” আবার আরেক শিল্পী তুবাই মণ্ডল বলেন, “গান্ধী কলোনি এলাকায় গতকাল রাত ১ টা ৩০ মিনিট সময়ে নির্মাণ করা মাটির ঠাকুরগুলিকে ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। একই ভাবে গঙ্গারঘাটে রাখা ফুলের সাজগুলিকেও ভেঙে দিয়েছে। কেউ উস্কানি দিয়ে সমাজের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে। পুলিশের উচিত সকল অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের কঠোর শাস্তি প্রদান করা। নিমতলা ঘাট, সার্কিট হাউস, কলেজ ঘাটে রাখা একাধিক মূর্তিকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কোনও মূর্তির হাত ভাঙা, মাথা নেই ইত্যাদি অবস্থায় রাস্তায় এখনও মাটিতে পড়ে রয়েছে। এই কাজ কোনও একজন ব্যক্তির নয়, সম্মিলিত অপকর্ম। দোষীদের শাস্তি চাই।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।