তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলল কিশোরীর, কী হয়েছিল জানেন?
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপড়ে নেওয়া হয়েছে চোখ, সারা শরীরে গভীর ক্ষতের চিহ্ন। কার্যত সর্ষের ক্ষেতে মিলল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর দেহ। ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছে প্রেমিক। গত দুই দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল কিশোরী। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। অবশেষে শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে মিলল কিশোরীর দেহ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার হরিহরপাড়ায়।
অষ্টম শ্রেণির ওই মৃত ছাত্রীর পরিবাবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল মেয়ে। আত্মীয় বা বন্ধু কারও বাড়িতে (Murshidabad) খোঁজ না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি আমরা। এরপর শনিবার দুপুরে হরিহরপাড়া থানা থেকে ফোন আসে এবং জানানো হয় একটি কিশোরীর দেহ মিলেছে। পুলিশ আমাদের জানিয়েছে, লোকালয় থেকে দূরে একটি সর্ষের ক্ষেতে এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহকে শনাক্ত করি। তার দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। পরিবার তরফে আরও বলা হয়, স্থানীয় এক তরুণ বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল তাকে। পুলিশের কাছে ওই তরুণের নামও জানিয়েছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। এমনকী, বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় মেয়েটি ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে দাবি পরিবারের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর দুটো চোখই উপড়ে নেওয়া হয়েছে। তার সারা শরীরে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। শরীরের উপর অত্যন্ত অত্যাচার হয়েছে। নাবালিকার দেহ উদ্ধারে এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। দেহ উদ্ধারের পর তড়িঘড়ি দেহ নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজে। এরপর সেখানে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
মৃত কিশোরীর মা (Murshidabad) বলেন, ‘‘আমার বাচ্চা মেয়েটাকে ভুল বুঝিয়ে নগদ ১০ হাজার টাকা সমেত বাড়ি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। টাকাপয়সা নিয়ে আমার মেয়েকে খুন করেছে। তারপর মাঠের মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছে। আমি ওই খুনির ফাঁসি চাই।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।