বহরমপুরে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে...
তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে তৃণমূল জেলা সভাপতির বিজয়া সম্মেলনে গরহাজির ছিলেন একাধিক দলের বিধায়ক। অসুস্থতার কথা বলে অনুপস্থিত ছিলেন জেলার সাংসদ। অবশ্য জেলার তৃণমূলের একাংশের নেতা-কর্মীদের বক্তব্য এই অনুপস্থিতি এক প্রকার অজুহাত ছিল। তবে এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক হলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি তৃণমূলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বলেন, “ওঁকে জেলা সভাপতি বলে মনেই করিনা।” এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদে ফের একবার গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলো।
তৃণমূল দলের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল দলের প্রত্যেক ব্লক স্তর পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিজায় সম্মেলন করতে হবে। বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, টাউন সভাপতি, ওয়ার্ডের সভাপতি এবং অঞ্চলের নেতাদের এই বিজায়র সম্মলনে যোগদান করতে হবে। এখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ২৭ টি বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠান হয়। গতকাল শনিবার ছিল বহরমপুরে বিজায় সম্মেলন কিন্তু এই অনুষ্ঠানে তৃণমূল জেলা সভাপতি শাওনি রায়, রাজ্য সহ-সভাপতি মইনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিজয়া সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না নওদার (Murshidabad) বিধায়ক শাহিনা মমতাজ এবং ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ফলে জেলায় ফের একবার হুমায়ুন কবীর বনাম শাওনি রায়ের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে।
বিজায় সম্মলনে উপস্থিত না থাকার কারণ হিসাবে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন, জেলার (Murshidabad) সভাপতি শাওনি রায়ের বিরুদ্ধে বলেন, “জেলা সভাপতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক একদম ভালো নয়। তাই আমি যাইনি। জেলা সভাপতিকে পরিবর্তন করার বিষয়ে দলকে জানিয়েছি। দল নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। তবে ওঁকে আমি জেলার সভাপতি বলে মানেই করিনা”
অপর দিকে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল জেলা সভাপতি দলের কোন্দলকে অস্বীকার করে শাওনি রায় বলেন, “গত নির্বাচনগুলি আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করছি। দলের সাফল্যের মূলে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক বেশ ভালো।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , এবং Google News পেজ।