জমির মিউটেশনে বিপুল পরিমাণে টাকা কেন? প্রশ্ন করেন হাইকোর্টের বিচারপতি
খড়দা পুরসভা। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়দা পুরসভায় (North 24 Parganas) জমির মিউটেশন ২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার! এই নোটিশ দেখে কার্যত বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। মূল অভিযোগ খড়দা পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। জমির মিউটেশনে বিপুল পরিমাণে টাকা কেন? সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি। এই নিয়ে জেলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।
একটি সংস্থা নিজেদের কোম্পানি খোলার জন্য একটি বড় জমি কেনে। জমির অবস্থান খড়দা থানা (North 24 Parganas) সংলগ্ন বিটিরোডের ধারেই। জমির পরিমাণ হল ২১ একর এবং জমির ক্রয়মূল্য বাবদ দিয়েছে ৮০ কোটি টাকা। এপরপর নিজেদের কোম্পানির গুদামঘর তৈরির জন্য জমির মিউটেশন করতে চেয়ে স্থানীয় পুরসভায় আবেদন করা হয়। এরপর পুরসভার চেয়ারম্যান নিজের স্বাক্ষর করা একটি নোটিশ পাঠায় ওই সংস্থাকে। ৯ নভেম্বের ২০২৩ সালে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নোটিশে এটাও বলা হয় যে জামি মিউটেশন করতে গেলে এই টাকা পুরসভায় জমা করতে হবে। এরপর ওই কোম্পানির তরফ থেকে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সুবিচার চেয়ে। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি এই বিপুল পরিমাণের টাকার অঙ্ক দেখে রীতিমত হতচকিত হয়ে যান। তাঁর চক্ষু একেবারে চড়ক গাছে উঠে যায়।
পুরসভার কোন আইনের পরিপ্রেক্ষিতে এতো বিপুল পরিমাণে টাকা চেয়ে নোটিশ দিয়েছে সেই বিষয়ে জানতে চান বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। সেই সঙ্গে এই নোটিশকে খারিজ করে দেন বিচারপতি এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে আইন মেনে কোম্পানির জমিকে মিউটেশন করানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশপাশি উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) জেলা শাসকের কাছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা চাওয়ার প্রেক্ষিতকে সামনে রেখে বিশেষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
খড়দা পুরসভার(North 24 Parganas) চেয়ারপার্সন নীলু সরকার বলেন, “সাধারণত আমরা জমির মিউটেশন করার ক্ষেত্রে নির্ধারিত জমির মূল্যের উপর ১ শতাংশ করে নিয়ে থাকি। আর এই করের উপর নির্ভর করে পুরসভার বাকি কাজ চলে। এতো কর্মী যাঁদের বেতন দেওয়া, সাফাই কাজের সরঞ্জাম কেনা ইত্যাদিতে আমরা নাগরিক সমাজের পরিষেবার কাজ করে থাকি। পুরসভার স্বাস্থ্য পরিষেবা, অ্যাম্বুল্যান্স চালাতেও এই খরচ বহন করে থাকি আমরা। আইন মেনে আমরা কাজ করেছি। জেল শাসকের চিঠি পেয়েছি। পুরসভা যেকোনও টাকা নিলে বিনিময়ে রিসির্ভ কপি দিয়ে থাকি আমরা। তবে ব্যক্তি গত ভাবে আমরা কোনও টাকা নিয়ে থাকি না।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।