খণ্ডঘোষ সমবায়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যাপক দুর্নীতি!
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধান বিক্রির নামে ৫০০ টাকায় চাষির পাসবুক ভাড়া করে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেনের অভিযোগে তীব্র শোরগোল পড়েছে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। এই বেআইনি লেনদেন চলত খণ্ডঘোষ সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। দুর্নীতির অভিযোগে শাসক-বিরোধীদের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে।
২০১৮-১৯ সালে খণ্ডঘোষের গ্রামবাসীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল। উল্লেখ্য একই দিনে সেই টাকা ধাপে ধাপে আবার তুলে নেওয়া হয়েছিল। অথচ যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তাঁরা কিছুই জানতে পারলেন না। কালনা গ্রামের সমবায় সমিতির পাসবুকে ধরা পড়েছে এই লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ।
কালনা গ্রামের (Purba Bardhaman) এক বাসিন্দা বলেন, “আমিনুল্লা হাজারি নামক এক ব্যক্তি আমাদের অনেকের সমবায় সমিতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছিলেন। এরপর ৫০০-২৫০ টাকা দিয়ে পাসবুক ভাড়া নিয়ে যান।” অবশ্য অভাবের কারণে গ্রামের মানুষ পাসবুক এই সামান্য টাকায় ভাড়া দিয়েও দেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা যায় এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢোকে। এরপর ধীরে ধীরে আবার সেই টাকা তুলেও নেওয়া হয়। যদিও কাজ করতে করতে আমিনুল্লা হাজারি মারা গেলে, পরবর্তী সময়ে তাঁর ছেলে আসদুল্লা হাজারি এই কাজ চালাতেন। অবশ্য ছেলের দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। পরবর্তীকালে বেকায়দায় পড়ে চাপে স্বীকার করে নেন যে এলাকার এক রাইসমিলের মালিকের হয়ে তাঁরা এই কাজ করতেন। অবশ্য এই বিষয়ে অভিযুক্ত সত্যনারায়ণ রাইস মিলের মালিক বলেন, “আমার কোনও ভূমিকা নেই, সমবায় সমিতি যে ধান দিত তাই আমরা নিতাম।”
এলাকার (Purba Bardhaman) বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “কেবল গরিব মানুষেরাই এই পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। পাসবুক নিয়ে কী করে লেনদেন হতো, তার তদন্ত হওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের দিয়ে পুরো দুর্নীতির পর্দাফাঁস করা উচিত। আসল চক্রী তৃণমূলের মাথা কলকাতায়। তাকে ধরা হোক।”
স্থানীয় (Purba Bardhaman) তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলাম বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। দোষীরা শাস্তি পাবে। বিজেপির কাছে মানুষ নেই তাই বারবার তৃণমূলকে বদনাম করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।