শিশির-দিব্যেন্দুর জোর জল্পনা বিজেপিতে যোগদানের…
বাঁ দিকে দিব্যন্দু অধিকারী এবং ডান দিকে শিশির অধিকারী। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) বিজেপি বিধায়ক। অপর দিকে বাবা সাংসদ শিশির অধিকারী আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল ছাড়েননি। লোকসভার আগে এই তৃণমূল কাঁথির সাংসদকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি যে তৃণমূলের সঙ্গে নেই সেই কথাও খুব স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। অপর দিকে তমলুকের তৃণমূলের সাংসদ দিব্যেন্দু বললেন, “আমি দাদাকে নিয়ে গর্বিত, সুযোগ পেলেই বিজেপিতে যোগদান করব।” আগামী ৭ মার্চ বিজেপির মেগা জয়েনিং কর্মসূচি রয়েছে। তাই এই যোগদান সভায় দুই তৃণমূল সাংসদ যোগদান করবেন কিনা তা নিয়ে রাজনীতির আঙ্গিনায় জল্পনা তৈরি হয়েছে। লোকসভার আগে দুজন তৃণমূল কি তাহলে পদ্ম শিবিরে?
কাঁথির (Purba Medinipur) এই বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “তৃণমূল করার জন্য আক্ষেপ তো অবশ্যই হয়। ভুল, একপ্রকার ভুল সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। সে দিন যদি আর একটু এগিয়ে-পিছিয়ে ভেবে এগোতাম, তাহলে হয়ত অনেকের রাজনীতিতে জন্ম হত না। অনেকেই বিদায় নিত। এই জিনিস দেখতে হত না।” একই সঙ্গে রাজ্যের দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, “এই বালু সেই বালু! এই পার্থ সেই পার্থ! ভাবতে পারিনা। লোকসভায় বিজেপির ৪২ আসনে ৪২ পাবে। ঠিক করে নির্বাচন হলে তৃণমূল একটিও আসন পাবে না। তৃণমূলের পাতা বড় বড় ফাঁদ ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ আর তৃণমূলে নেই।”
লোকসভার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যান্দু অধিকারী বলেন, “আর তো মাত্র কয়েকটা দিন। কারা যোগ দেবে আর কারা যোগ দেবে না তা ৭ তারিখেই স্পষ্ট হবে। আমি তৃণমূল দলে নেই ধরে নিতে পারেন। সাংসদ আছি। যতদিন মেয়াদ আছে আমি সাংসদ থাকব। দাদা আমাদের কাছে গর্বের দাদা। তাঁর জন্য আমাদের বুকটা সবসময় চওড়া হয়ে থাকে। সুযোগ পেলে অবশ্যই বিজেপিতে যোগদান করব। আগামীকাল হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবো। সাংসদ হিসাবে আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।