“আমাকে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থরথর করে কাঁপে” কটাক্ষ শুভেন্দুর
খেজুরিতে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে অবশেষে খেজুরিতে (Purba Medinipur) নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সভা করলেন। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক বিষয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন। তিনি বলেন, “খেজুরির মানুষ নানা ভাবে অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। যেহেতু তৃণমূলের ক্ষমতা কমে গিয়েছে তাই তারা এলাকায় অত্যাচার করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই এলাককে উত্তপ্ত করে তোলা হয়েছিল। তাই চোরেরা কী করে তাড়াতাড়ি জেলে যায় এবং বঞ্চিতরা কীভাবে তাঁদের অধিকার ফিরে পায় সেই কাজে আমরা ব্যস্ত।”
রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী খেজুরিতে (Purba Medinipur) রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আজকের এই সভা কোনও রাজনৈতিক সভা নয়, ভোট চাওয়া বা দেওয়ার কথা বলতে আসিনি। এখানকার মানুষ বার বার অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। মানুষের মন জয় না করতে পেরে পুলিশকে দিয়ে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করানো হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে আমাদের কর্মীদের। সিপিএমের শাসনেও আমি নিজে এলাকায় মানুষের পাশে থেকেছি। এইরকম ঘটনা আগে হয়নি। যত মিথ্যা মামলা হয়েছে আমরা সব সাটিফায়েড কপি তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো। বোগা, চরকাপীঠ, কসবাতে সভা করেছি। বাটুল, গোপাল, রবীনদের মিথ্যা মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। থানায় গিয়ে কর্মীদের ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছি। আমি সকলের পাশে বন্ধু হিসাবে থেকেছি।”
খেজুরিতে (Purba Medinipur) এদিন সভায় শুভেন্দু আরও বলেন, “তৃণমূলের চোর, ডাকাত যাঁদের দেখেছেন তাঁরা সবাই ২০১০ সালে হিমাংশু দাসের নেতৃত্বে হওয়া আন্দলেনের ফলে গর্তে লুকিয়ে ছিল। তৃণমূলের চোরদের একদম ভয় পাবেন না। এলাকার বিরাট নেতা নৌসদ, জালালদের মদের বতলে ছবি প্রকাশিত হয়। আমাকে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন থরথর করে কাঁপে, ঠিক সেই সময় সিপিএমের লোকেরা কেঁপেছিল। সে দিন আমি ছিলাম বলেই আজ তোলা মূলেরা টিকে আছে। সিপিএমের প্রবীণ নেতাদেরকে বিজেপির পক্ষে আগামী লোকসভার ভোটে নামামো। একেবারে চৌকিদারের মতো পাহাড়া দেবো আমি আপনাদের। আপানাদের পাশে থেকে আমি সব রকম সহযোগিতা করব।”
খেজুরির (Purba Medinipur) বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক রবীন মান্নারকে পুলিশ মিথ্যা মামলায় কেস দিয়ে গ্রেফতার করলে প্রতিবাদে ২ ডিসেম্বর সভা করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু প্রশাসনের কাছে জানিয়েও আবেদন মেলেনি। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টে। শক্রুবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ, খেজুরিতে শনিবার ২ টো থেকে ৫ টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।