শিল্পের নাকি জোয়ার, শক্তিগড় জুট পার্কের কী হাল জানেন?
শক্তিগড়ের 'জুট পার্ক' কারখানা। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাণিজ্য সম্মেলনের ঢক্কানিনাদের মাঝেই অর্ডার না পেয়ে বন্ধ 'জুট পার্ক'। সরকারি অর্ডার নেই এবং সেই সঙ্গে প্রতিকূল বাজার। ফলে গোডাউনে মজুত রয়েছে উৎপাদিত পণ্য। আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে তিনদিন জুট পার্ক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল মিল কর্তৃপক্ষ। কর্মহীনতার আশঙ্কায় ভুগছেন জুট পার্কে শ্রমিকরা। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে (Saktigarh)।
৩০ নভেম্বর ২০২৩ থেকে ২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় (Saktigarh) জুট পার্ক। জুট পার্কের পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করে জানানো হয়েছে, সরকারি অর্ডার তেমন ভাবে নেই। প্রতিকূল বাজারের কারণে উৎপাদিত মাল বিক্রি করা যাচ্ছে না। ফলে গোডাউনে প্রচুর পরিমাণ মাল মজুত রয়েছে। কোম্পানির আর্থিক সংকট ও প্রয়োজনীয় কাঁচা পাট না থাকার জন্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে মিল চালানো সম্ভব হচ্ছে না, সেই জন্য বাধ্য হয়ে ইউনিট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে উক্ত বন্ধের দিনগুলিতে শ্রমিকদের কোনও মজুরি বা ভাতা প্রদান করা হবে না।
মিলের (Saktigarh) এক শ্রমিক সেখ রফিক বলেন, “বিভিন্ন রাইস মিলগুলিও একই কারণেই সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন কাজ হচ্ছে বাকি দিন বন্ধ রাখছে। বন্ধের দিনগুলি শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হচ্ছে না ফলে এই শক্তিগড় জুট পার্কেও কেউ এরকম করা হলে আগামী দিনে আমরাও কর্মহীন হবো।” আরেক শ্রমিক বুধ শেঠ বলেন, “শক্তিগড় জুট পার্ক যাতে আগের মতই চালু করা হয়, সেই দাবি জানাচ্ছি আমরা”।
স্থানীয় (Saktigarh) বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “রাজ্য সরকার বাণিজ্য সম্মেলনের নামে সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকা খরচা করে বিদেশে ঘুরছেন আমলা এবং মন্ত্রীরা। একই ভাবে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তৃণমূল। তারই একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ শক্তিগড় জুট পার্ক বন্ধের দৃষ্টান্ত।”
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “জুটের ক্ষেত্রে সমস্ত দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের, শুধু বড়ো বড়ো কথা বলছেন। কারখানাগুলি আজ ধুকছে, ফলে শ্রমিকরা চিন্তা করছেন আগামী দিনে তাঁদের কী হবে। বাণিজ্য সম্মেলন করে কী লাভ হয়েছে বাংলার মানুষ জানেন। বিজেপির জানা উচিত মালিক যে নোটিশ দিয়েছে এর কারণের পিছনে রয়েছে কেন্দ্র সরকার। মূল কারণ যে হারে উৎপাদন হয় সেই হারে বিক্রি নেই। মাল কেনা থেকে বিক্রি সবটাই দেখে কেন্দ্র সরকার। আর সেই কারণেই কারখানা (Saktigarh) বন্ধ হচ্ছে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।