বিজেপি করায় সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত বৃদ্ধা!
ভাঙা বাড়িতে বিজেপি কর্মী স্বর্ণলতা বৈদ্য। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার 'অপরাধে' খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাতে হচ্ছে বৈদ্য পরিবারকে। রাজ্যে বিরোধী রাজনীতি করাটা যেন অন্যায়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। এমনকী একাধিক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ এবং রাজনৈতিক হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল জেলার রাজনীতি। এবার ফের একবার কেবলমাত্র বিজেপি করার জন্য সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকায় (South 24 Parganas) জল প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে ভাঙা পড়েছে আস্ত বাড়ি। এরপর থেকেই শীতে খোলা আকাশের নীচে অসহায় ভাবে বাস করতে হচ্ছে গোটা পরিবারকে। প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। অগত্যা শীতকালে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার থানা এলাকার গাববেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রামেশ্বরপুর গ্রামের বৃদ্ধা স্বর্ণলতা বৈদ্য ও তাঁর পরিবার।
অসহায় পরিবারের (South 24 Parganas) পক্ষে বিধবা বৃদ্ধা স্বর্ণলতা বৈদ্য অভিযোগ করেন, “এলাকায় জলের পাইপ লাইনের কাজ করার সময় গত নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ আমাদের বাড়িটি ভেঙে পড়ে গিয়েছিল। এখন তাই থাকতে হচ্ছে খোলা আকাশের নীচে। সমস্যার কথা স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানালে, পঞ্চায়েত থেকে মাত্র একটি ত্রিপল দেওয়া হয়েছিল। এলাকায় বিজেপি করি বলে প্রশাসন সহযোগিতা করছে না। এখন আমাদের দরকার একটি বাড়ির।” পরিবারের আরও এক সদস্য জয়ন্ত বৈদ্য বলেন, “স্থানীয় প্রশাসন, শাসকদলের নির্দেশেই সাহায্য করছে না। কিন্তু প্রশাসন যদি তাদের সাহায্য করে, তাহলে হয়তো শীত থেকে একটু নিস্তার পেতে পারেন তাঁরা।
সরব বিজেপি
এলাকার (South 24 Parganas) বিজেপি নেতা রণজিৎ হালদার বলেন, “ওই বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন বিজেপি কর্মী। তাই ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকার কোনও সাহায্য করছে না।"
অবশ্য এই ঘটনায় গাববেড়িয়া (South 24 Parganas) পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান সুবীর সর্দার বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই বৃদ্ধাকে আপৎকালীন একটি ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। তবে যেহেতু পিএইচই=র পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে, ফলে এখানে কিছুই করার নেই। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা হবে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।