ডায়মন্ড হারবারে সন্ধ্যা নামলেই অজানা জন্তুর ভয়!
পাতা হচ্ছে খাঁচা। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধ্যা হলেই বাড়তে থাকে আতঙ্ক! রাত হলেই বাড়ছে জন্তুর আনাগোনা! আঁচড়-কামড়ে জখম হচ্ছেন এলাকার মানুষ। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। কিন্তু কেন ঘটছে এমন ঘটনা, এখনও কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর বক্তব্য, কোনও অজানা জন্তু রাতের অন্ধকারে ঘুরছে এবং হামলা করছে। ইতিমধ্যে আহত হয়েছেন ৮ জন। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবার এলাকার সরিষা ও মশাট এলাকায়।
স্থানীয় (South 24 Parganas) মানুষের বক্তব্য, সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে জন্তুর হামলায় এলাকায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন কুকুর, কেউ বলছেন শিয়াল, আবার কেউ বলেছেন বিশেষ জন্তু। তবে ঠিক কোন প্রাণী আক্রমণ করছে সেই বিষয়ে এখনও জানা যাচ্ছে না। এলাকার মানুষ বর্তমানে বন দফতরের কাছে খবর দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাসিন্দাদের সতর্ক করার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, অহেতুক আতঙ্কিত যেন কেউ না হন এবং সন্ধ্যা নামলে অন্ধকারে যেন শিশুদের বাইরে না ছাড়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্তুকে ধরতে এখনও পর্যন্ত বন দফতরের পক্ষ থেকে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছে। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে মোট ৮ জনকে জখম করেছে জন্তু। ইতিমধ্যেই তাঁদের সরিষা ব্লক হাসপাতাল এবং ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় দক্ষিণ পরগনার (South 24 Parganas) ডিএফও বলেছেন, “বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, শিয়াল জাতীয় কোনও প্রকার প্রাণী আক্রমণ করছে হয়তো। তাকে ধরতে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছে। রাতে এবং দিনে বন দফতর থেকে এলাকায় টহল দেওয়া চলছে। খুব দ্রুত ধরা পড়বে আমাদের বিশ্বাস। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমার উপেন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টানা তিন মাস ধরে বাঘের আতঙ্ক চলছে। গ্রামের মধ্যে বন্যপশুর রক্তের দাগের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এলাকার ধনচির জঙ্গলকে জাল দিয়ে আটকে দেওয়ার পরে বাঘের আনাগোনা টের পাওয়া গিয়েছে। বাঘের আতঙ্ক কাটাতে এলাকায় গণস্বাক্ষরের অভিযান চালানো হচ্ছে। বন দফতর অবশ্য জানিয়েছে, "গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। জনবসতি এলাকায় বাঘ ঢুকছে না।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।