ধৃত শাহরুলের দেওয়া তথ্যেই খুনের ছক পরিষ্কার হল...
তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনে ধৃত শাহরুল শেখ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরের (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনে ধৃত শাহরুল শেখ বারুইপুর আদলাত থেকে বেরিয়ে দাবি করল, ‘গুলি আমি চালাইনি। খুনের নির্দেশ দিয়েছিল নাসির। গুলি করেছিল সাহাবুদ্দিন।' অভিযুক্তের বক্তব্যে ঘটনার মোড় এখন কোন দিকে নেয় তাই দেখার। কিন্তু নতুন নাম উঠে আসা নাসির কে? যদিও পুলিশের কাছে বিষয়টা স্পষ্ট নয়।
কালীপুজোর রাতে সইফুদ্দিন খুন হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত জয়নগরের বামনগাছি। তৃণমূল নেতার হত্যার ঘটনায় গোটা গ্রামকে আগুনে পোড়ানোর তাণ্ডব লীলা চালানো হয়েছিল। মানুষ গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। অপরে খুনের অভিযোগে ঘটনার সময় পালানোর সময় শাহরুল ধরা পড়েছিল। অপর দিকে সাহাবুদ্দিন নামক আরও একব্যক্তি গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল। এই মৃত সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী জানিয়েছেন, স্বামীও তৃণমূল কর্মী ছিল। এরপর পুলিশ তদন্ত করে জিজ্ঞসাবাদ শুরু করে শাহরুলকে। তাকে মঙ্গলবার আদালতে তুললে সে বলে, “নাসির খুন করার নির্দেশ দিয়েছিল।” কিন্তু এই নাসির কে? উত্তরে শাহরুল শুধু 'বড় ভাই বড় ভাই’ উচ্চারণ করে। সেই সঙ্গে শাহরুল আরও স্পষ্ট করে বলে, “গুলি আমি চালাইনি, গুলি করেছিল সাহাবুদ্দিন”
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্করের খুনে ধৃত শাহরুল শেখকে আজ পুলিশ বারুইপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারকের কাছে পুলিশ, ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে রাখার জন্য আবেদন করে। কিন্তু বিচারক, শাহরুলকে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৪ নভেম্বর তাকে আবার আদালতে পেশ করা হবে। অভিযুক্তের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে তাকে যেন শারীরিক অত্যাচার না করা হয়।
ধৃত শাহরুলকে জেরা করে খুনের ঘটনা বিষয়ে জানতে পরেছে পুলিশ। তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিনের সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখতো সে। পাশের একটি বাড়িতেই থাকত শাহরুল। তার বাড়ি ডায়মন্ড হারবারের নেতাড় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে আগে সে চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। দর্জির কাজ করলেও মাত্র কয়েকদিন আগেই চুরির কাজ পায়। এরপর বামনগাছিতে চলে আসে। তৃণমূল নেতাকে খুনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল সে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খুনের ছক করা হয়। ফলে খুনে যে তার ভূমিকা ছিল তাও পরিষ্কার হয় পুলিশের কাছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।