ভাড়া করা শার্প শ্যুটার দিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে
মৃত তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরের (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করার পিছনে রয়েছে ভাড়াটে শার্প শ্যুটার। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা প্রথমে এমনটাই আন্দাজ করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের জন্য এক লাখ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল নেতাকে খুনের আগে রীতিমতো রেইকি করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় আতঙ্ক এলাকায়।
পুলিশের আন্দাজ সম্ভাব্য ভাড়া করে বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে আসা হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরেই সুইফুদ্দিন ভোর বেলায় নামা পড়তে যাচ্ছিলেন। দুষ্কৃতীরা তাঁর গতিবিধির উপর বিশেষ নজর রেখেছিল। এরপর তাঁকে কালীপুজোর দিন ভোর বেলায় একদম কাছ থেকে ঘাড়ে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। খুনের নমুনা সংগ্রহ করে ঘটনায় বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জয়নগরের (South 24 Parganas) এই ঘটনায় পুলিশ মোট তিনটি মামাল রুজু করেছে। যার একটি মামলা হল সইফুদ্দিনের খুনের মামলা, দ্বিতীয়টি হল সাহাবুদ্দিন শেখের পিটিয়ে মারার মামলা এবং তৃতীয় হল গ্রামের একের পর এক বাড়ি পড়ানোর মামলা। পুলিশের দাবি ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
এ যেন একেবারে বগটুইয়ের ছায়া। তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর গোটা গ্রামকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঘরের মধ্যে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন বেশ কয়েজন শিশু, মাহিলা এবং পুরুষ। ঠিক একই ভাবে জয়নগরের (South 24 Parganas) দোলুয়াখাঁকির নস্কর পাড়া এলাকায় তৃণমূল নেতা খুনকে কেন্দ্র করে প্রচুর ঘরবাড়িতে চেলেছে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড এবং তাণ্ডবলীলা। গোটা গ্রাম জুড়ে এতটাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল যে, অনেকেই ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বামনগাছি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর হত্যা হলে শুরু হয়ে যায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণ। সইফুদ্দিনকে দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে গুলি করেছিল। শব্দ শুনে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসেন। এরপর তাঁকে নিকটবর্তী পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানা যায়। অপর দিকে প্রথমে হামলাকারীরা সিপিএম সমর্থক জানা গেলেও, সিফুদদ্দিনকে গুলি করে পালানোর সময় দুইজন হাতনাতে ধরা পড়লে পিটুনিতে মারা যান সাহাবুদ্দিন নামক এক ব্যক্তি। পরে অবশ্য মৃত সাহাবুদ্দদিনের স্ত্রী বলেন, তাঁর স্বামী তৃণমূল কর্মী ছিলেন। ফলে হামলা, হত্যা এবং গ্রামে আগুন দেওয়ার ঘটনা কার্যত শাসক তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফল নয় তো? এটাই এখন আলোচনার কেন্দ্র।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।