দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সবুজ সাথী সাইকেল নিয়ে এ কী কাণ্ড! জানলে চমকে উঠবেন
ঘটনাস্থলে পুলিশ (বাঁদিকে), বাজেয়াপ্ত হওয়া সবুজ সাথী সাইকেল (ডানদিকে) (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে সরকারি সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল তছরুপের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তীতে। বাসন্তী থানার উত্তর মোকামবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পালবাড়ি এলাকায় এক মহিলার বাড়ি থেকে ১৯ টি সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল উদ্ধার হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ ও বাসন্তী ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তীর ঢুঁড়ি জনপ্রিয় নগর স্কুল থেকে বাসন্তী ব্লকের বিভিন্ন স্কুলে সবুজ সাথী সাইকেল পাঠানো হচ্ছিল। সেই মোতাবেক বাসন্তীর কুলতলি নারায়ণতলা রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দির স্কুলেও ২৩৯ টি সাইকেল আসার কথা ছিল। রাতে সুব্রত নামে ওই ট্রাক চালককে সেকারণে ঢুঁড়িতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর গাড়িতেই সাইকেল আসে। কিন্তু স্কুলে ২৩৯ টি সাইকেল নামিয়ে দিয়েও ১৯ টি সাইকেল বেশি হয়। সেই বাড়তি সাইকেল ওই ট্রাক চালক বাসন্তীর পালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শিখা সাউয়ের বাড়িতে রেখে যায়। যদিও এই ঘটনা সম্পর্কে বাড়ির মালিক কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। মিনি ট্রাক চালক সুব্রত রাউত নামে এক ব্যক্তি শনিবার রাত ১২টা নাগাদ এই সাইকেলগুলো তাঁর বাড়ির একটি ফাঁকা টিনের ঘরে সেগুলি রেখে যায় বলে বাড়ির মালিক শিখা সাউয়ের দাবি। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই রবিবার সকালের মধ্যে ৬ টি সাইকেল নারায়ণতলা রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দির স্কুলে দিয়ে আসে সুব্রত। তবে, ঘটনার কথা জানতে পেরে বাসন্তী থানার পুলিশ বাকি ১৩ টি সাইকেল উদ্ধার করেছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই সাইকেলগুলি চুরি করে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের। তাই, সরকারি প্রকল্পের সাইকেল রাতের অন্ধকারে পাচার করে এনে শিখা সাউ নামে স্থানীয় এক মহিলার বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। আসলে সরকারি এই সাইকেল হাতিয়ে বিক্রি করার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে, তাদের সকলকে গ্রেফতার করতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।