কামদুনি ধর্ষণ মামলায় কী নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট?
সুপ্রিম কোর্ট (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়েছিল কামদুনিকাণ্ডের (Kamduni Case) দুই অপরাধী। সুপ্রিম কোর্ট সেই মুক্তির নির্দেশ রদ করে দিল। বৃহস্পতিবার এদেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে কামদুনি ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি পাওয়া ৪ জনকে বেশ কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে কামদুনিতে (Kamduni Case) ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ ওঠে এক কলেজ ছাত্রীকে। এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে ৫ জন অপরাধীর মধ্যে দুইজনের ফাঁসির আদেশ হয় এবং বাকি তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ হয়। কামদুনি ধর্ষণ মামলায় দশ বছর কারাবাস হয়ে গিয়েছে এই যুক্তিতে মুক্তি পেয়ে যায় এই ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের তিন অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট চারজনেরই ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। পূর্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মূল অভিযুক্ত আনসার আলি ও সইফুল আলির মৃত্যুদণ্ড রদ (Kamduni Case) করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। বাকি ৪ অভিযুক্ত আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথকে বেকসুর মুক্তি দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছিল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণের অভাবেই এই রায় দিতে বাধ্য হয়েছে তারা।
কামদুনি ধর্ষণকাণ্ড (Kamduni Case) মামলায় যারা জেলের বাইরে রয়েছে তাদের জন্য নিম্নলিখিত নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
১) জেলের বাইরে যারা রয়েছে তাদের প্রতি মাসে সোম এবং শুক্রবার থানায় হাজিরা দিতে হবে।
২) জেলের বাইরে থাকা কোনও আসামির যদি পাসপোর্ট থাকে তবে তা জমা দিতে হবে পুলিশের কাছে।
৩) প্রত্যেকের মোবাইল নম্বর থানায় জমা দিতে হবে। এর পাশাপাশি মোবাইল তথ্য থানায় জানাতে হবে।
৪) অভিযুক্তরা কোনওভাবে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট তথা রাজারহাট থানার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা ছাড়তে পারবে না।
৫) অভিযুক্ত চারজন কোথাও যাওয়ার ৪৮ ঘন্টা আগে পুলিশকে তাদের গতিবিধি জানাবে। কোথায় যাচ্ছে সে সংক্রান্ত তথ্য জানাবে, আবার ফেরার পরেও তথ্য পুলিশকে জানাতে হবে।
৬) নিজেদের বাড়ির ঠিকানা, থাকার জায়গা ঠিকানা পুলিশকে জানাতে হবে। যদি নিজেদের থাকার জায়গা বদল হয় সেটাও পুলিশকে জানাতে হবে।
৭) কোনওভাবেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না।
৮) কামদুনির (Kamduni Case) মতো যে কোনও অপরাধ তারা করতে পারবে না বা এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে নিজেকে জড়াবে না।
প্রসঙ্গত চলতি মাসের ৬ তারিখে কামদুনি ধর্ষণ ও খুনের মামলার কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলা যে তিনজনকে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত তাদের মধ্যে একজনকে বেকসুর খালাস (Kamduni Case) করে হাইকোর্ট। বাকি দুজনের ফাঁসিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড করা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।