পুর-নিয়োগ দুর্নীতির পর স্ক্যানারে ডিয়ার লটারি! মধ্যমগ্রামে অভিযান চালাল ইডি
ডিয়ার লটারি তৈরির কারখানায় ইডি-র হানা (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। এই দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি-সিবিআই একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। পুরমন্ত্রী থেকে খাদ্যমন্ত্রী সকলের বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বৃহস্পতিবার সাত সকালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিল ডিয়ার লটারির উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরের প্রিন্টিং অফিসে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তিনটি গাড়িতে করে পৌঁছান মাইকেল নগরে। সকাল আটটা থেকে চলছে মাইকেলনগরের অফিসে তল্লাশি। এদিন দুপুরে এখনও পর্যন্ত তল্লাশি জারি। এই সংস্থার বিরুদ্ধে আগেও একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল। ইডি (ED) ও সিবিআই এর আগেও এই সংস্থায় তল্লাশি চালিয়েছিল উদ্ধার হয়েছিল বেআইনি কোটি কোটি টাকা। সংস্থার কর্ণধারদের দিল্লির সদর দফতরে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আবার ডিয়ার লটারির অফিসে তল্লাশি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে বেশ কিছু প্রশ্ন।
পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বুধবার ইডি (ED) আধিকারিকরা শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর সহ পাঁচ জায়গায় হানা দেয়। তালিকায় রাইস মিলও ছিল। মূলত, এই দুর্নীতির টাকা এসব জায়গায় বিনিয়োগ হয়েছে বলে তদন্তকারীদের হাতে তথ্য প্রমাণ এসেছে। সেই তথ্য প্রমাণ কতটা সঠিক তা খতিয়ে দেখতেই তদন্তকারীরা এই হানা দেয়। এবার মধ্যমগ্রামে ডিয়ার লটারির প্রিন্টিং কারখানায় ইডি হানা দেয়। এমনিতেই ডিয়ার লটারির টাকা গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। একজনের কাছে সেই টাকা কিনেছিল বলে জলঘোলাও হয়েছিল। সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক অনেক তথ্য হাতে পেয়েছে। তবে, কেষ্ট ছাড়াও একাধিক তৃণমূল নেতার অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা ঢুকেছে। কারও কারও অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকবার একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির লটারির প্রথম পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা জমা হয়েছে। ইডির সন্দেহ লটারির সঙ্গে এই কারখানায় ছাপা লটারির যোগসূত্র আছে। তার তদন্ত করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারায় ইডি অফিসাররা তল্লাশি চালাচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।