১০০ দিনের টাকা আটকে কেন? রাজ্যে এসে খোলসা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, কী বললেন?
সাধ্বী নিরঞ্জনা জ্যোতি (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পা পড়েছে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির (Sadvhi Niranjan Jyoti)। মঙ্গলবারই ১০০ দিনের কাজের টাকা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আমরা আজও বলছি, যাঁরা মনরেগাতে দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করুন, আমরা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু জানি না কেন মমতাদি করতে চাইছেন না। ক্ষতি এখানকার মানুষের হচ্ছে। হতে পারে যেখানে দুর্নীতি হয়েছে, সেখানে হয়ত তাঁর কেউ নিজের লোক রয়েছেন।’’
প্রসঙ্গত, আজ বুধবার কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Sadvhi Niranjan Jyoti) এবং সেখানেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা টাকা আটকাইনি। আমরা কারও টাকা বন্ধ করিনি। যদি টাকা বন্ধ করাই লক্ষ্য হত, তাহলে অন্যান্য প্রকল্পের সব টাকা বন্ধ করে দেওয়া হত। যে বিষয়টি আছে, সেটা আগে বসে সমাধান করুন। আমাদের ২ জন আধিকারক রয়েছেন, আর উনি ২ জন আধিকারিককে দিয়েছেন। যেখানে যেখানে গণ্ডগোল রয়েছে সেগুলি আগে বসে দেখা হবে।’’ এর সঙ্গেই মন্ত্রীর তোপ, হয়ত কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়তে পারে বলেই রাজ্য আলোচনায় বসতে চাইছে না। সাধ্বী নিরঞ্জন বলেন, ‘‘কেন্দ্র প্রস্তুত থাকলেও কিন্তু উনি এখনও কেন এই সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন না আমি জানি না। হয়ত কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়বে বলেই আলোচনায় বসতে চাইছেন না।’’
প্রসঙ্গত, গত বছরের অগাস্ট মাসেই অভিষেক ও তাঁর দলবল দিল্লিতে গিয়ে নাটক শুরু করে। বাংলা বঞ্চিত এই বলে। পরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অফিসেই ধর্নায় বসে। এ নিয়ে এদিন মন্ত্রী (Sadvhi Niranjan Jyoti) বলেন, ‘‘ওরা প্রথমে বলেছিল, ৫ জন দেখা করবে, তারপর বলল ১০ জন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বলেছিলেন, আমি রাজিও হয়েছিলাম দেখা করতে। তারপর ওরা বলল, প্রতিনিধি নয়, জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলার মানুষের ভালো করা নয়, ধর্না দেওয়াই তৃণমূলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল।’’
আরও পড়ুন: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি সুকান্তর
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।