পুলিশের কাছে থেকেই গায়েব পঞ্চায়েত নির্বাচনের সিসিটিভি ফুটেজ !
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উধাও হয়ে গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ! পুলিশের ভূমিকায় অত্যন্ত বিরক্ত প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রের বুথে লাগানো হয়েছিল সিসিটিভি। নজরদারিতে হয়েছে ভোট গ্রহণ পর্ব। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে (Uttar Dinajpur) ভোটের দিনেই খুন হয়েছিলেন দুই রাজনৈতিক কর্মী। আজ সোমবারে হাইকোর্টে এই জোড়া খুনের মামলায় আদতে সিসিটিভির ফুটেজ দিতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। এর ফলেই পুলিশকে আদলাতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল। উল্লেখ্য, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সময় মনোনয়ন থেকে ভোটদান এবং ফলাফলের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল। পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু খুন, হত্যা এবং ভোট লুটের মামলা হাইকোর্টে গেছে বলে জানা গিয়েছে।
আদলাত সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুরের (Uttar Dinajpur) জগির বস্তিতে ভোটের দিন খুন হয়েছিল দুই ভাই। একজন ছিলেন জমির উদ্দিন তৃণমূল কর্মী এবং অপর আরেক জন ছিলেন সামসুর হক কংগ্রেস সমর্থক। ভোটের দিনে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁদের। এই খুনের ঘটনায় আদালতে পুলিশ জানিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ হারিয়ে গিয়েছে। অথচ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে পুলিশের তদন্ত করার নির্দেশ ছিল। পুলিশ নামে মাত্র তদন্ত করেছে। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার কথা বললেও পুলিশ তা করতে পারেনি। আদলাতের বক্তব্য ঠিক এমনটাই। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আদালত মামলায় গোপন জবানবন্দী নেওয়ার কথা বললেও খুনে যারা অভিযুক্ত তাদেরকেই সাক্ষী করেছে পুলিশ। রাজনীতির একাংশের মানুষের বক্তব্য পুলিশ দুষ্কৃতীদের হয়ে কাজ করছে।
ইসলামপুরের গোয়ালপুকুরের (Uttar Dinajpur) নির্বাচনের দিনে খুনের ঘটনায় পুলিশকে তীব্র সমালোচনা করে হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, “ভোটের দিনে দুই ভাইয়ের খুন হতে হয়েছিল। আর পুলিশ বলছেন দুই পক্ষের মধ্যে গোলমালে মারা গিয়েছেন! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আর কিছু বলার নেই।” বিচারপতি আরও জিজ্ঞেস করেন, “গোপন জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে কিনা?” উত্তরে উকিল বলেন বয়ান নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পালটা বিচারপতি বলেন, “মৃত পরিবারের বক্তব্যকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কাজ করছে পুলিশ। পুলিশ নিজের ইচ্ছেতে গল্প সাজিয়েছেন।” বর্তমানে পুলিশ সুপারকে তদন্তের ভার দিলেও সিসিটিভি ফুটেজ আদৌ উদ্ধার হবে কিনা তা এখনও সংশয়ের বিষয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।