ক্লাবকে চাঁদা না দেওয়ায় বাড়িতে ঢুকে বেধড়ক মারধর পুলিশকর্মীকে!
আক্রান্ত পুলিশ কর্মী নন্দ মন্ডল। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এবারে চাঁদার জুলুম থেকে বাদ পড়লেন না খোদ পুলিশও। চাঁদা নিয়ে বচসার জেরে আক্রান্ত হলেন এক পুলিশকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জ থানার কর্ণজোড়ার কালীবাড়ি এলাকায়। আহত ওই পুলিশকর্মীর নাম নন্দ মন্ডল।
নন্দবাবু আাবার রায়গঞ্জ মহকুমা শাসকের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় নন্দবাবু রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ওই ক্লাবের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন। বাকিদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ (Uttar Dinajpur) মহকুমা শাসকের নিরাপত্তারক্ষী নন্দ মন্ডল তিনি এক বছর আগে কর্ণজোড়ার কালীবাড়ি এলাকায় নতুন বাড়ি করেন। বাড়িতে থাকেন নন্দবাবুর স্ত্রী ও একটি সন্তান। গতবছর তাঁর কাছে থেকে কালীপুজো উপলক্ষে কর্ণজোড়া কালীবাড়ি এলাকার বিপ্লবী ক্লাব ১৫ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেই বিষয়টি মিটে যাওয়ার পর এবারের কালীপুজোয় ফের নন্দবাবুকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে বলে ক্লাব। নন্দবাবু ২ হাজার টাকা দিতে চেয়েছেন আর মন্দির করার সময় কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান ক্লাবের সদস্যদের।
চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা আদায় করতে না পারায় তাতে ক্লাব নারাজ। অবশেষে শনিবার রাতে বিপ্লবী ক্লাবের কিছু সদস্য মদ্যপ অবস্থায় নন্দবাবুর বাড়িতে (Uttar Dinajpur) গিয়ে হামলা চালায়। সেই সঙ্গে নন্দবাবুকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই পুলিশের উপরও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
আহত পুলিশকর্মী নন্দ মন্ডল বলেন, "১৫০০০ টাকা চাঁদার দাবীতে ওই এলাকার কিছু যুবক রাত্রিবেলা মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে চড়াও হয়। পুলিশের সামনেই মারধর করে আমাকে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে (Uttar Dinajpur) নিয়ে যান।"
গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রায়গঞ্জের (Uttar Dinajpur) মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি। তিনি বলেন, "এই ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের পাশাপাশি উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করার কথা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।"
অপরদিকে, স্থানীয় বাসিন্দা কল্পনা বর্মন, চাঁদা চাওয়া ও গন্ডগোলের ঘটনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, "শুনেছি ছেলেরা ঐদিন রাত্রি বেলা চাঁদা চাইতে গিয়েছিল এবং ওখানে গন্ডগোল হয়। পরে পুলিশ এসে বেশ কয়েকজনকে তুলে নিয়ে যায়। যারা দোষ করেছে তাদেরকেই পুলিশ গ্রেফতার করুক এবং যারা জড়িত নয় তাদেরকে ছেড়ে দিক।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের, এবং Google News পেজ।