Hilli: হিলিতে চালু হচ্ছে সুসংহত স্থলবন্দর…
হিলি স্থলবন্দর। নিজেস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে 'ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট' (আইসিপি)-এর জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা প্রশাসনের হাতে এসেছে। তাতে এই প্রশ্ন উঠেছে এবার গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। গত সোমবার কেন্দ্রীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনকে হিলিতে 'আইসিপি'র জন্য জমি কিনতে ২১ কোটি টাকা পাঠিয়েছে বলে জানান আধিকারিকেরা। হিলিতে ২৫ একর জমিতে ওই সুসংহত স্থলবন্দরের পরিকাঠামো গড়ে ওঠার কথা। উত্তরবঙ্গের মধ্যে হিলিতেই প্রথম এই প্রক্রিয়া শুরু হল। এখন রাজ্যের মধ্যে 'ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট' বা সুসংহত স্থলবন্দর চালু রয়েছে কেবল উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলে।
বর্ষার সময় ‘পদ্মার ইলিশ’ পেট্রাপোল (আইসিপি) হয়ে প্রায় সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার পথ ঘুরে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি পৌঁছতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্যই দাম অনেকটা বেড়ে যায়। হিলি (Dakshin Dinajpur) স্থলবন্দর তৈরী হলে পদ্মার ইলিশ এপথে শিলিগুড়ি পৌঁছবে অন্তত ২৫০ কিলোমিটার কম পথ পাড়ি দিয়ে। কেবল ইলিশ নয়, ব্যবসায়ীদের দাবি, আরও বেশ কিছু সামগ্রী বাংলাদেশ থেকে আমদানি শুরু হবে, তেমনই বহু জিনিসের রফতানি বাড়বে। স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত সহজ হবে।
হিলি (Dakshin Dinajpur) রফতানি ব্যবসায়ী সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী বলেন, "হিলিতে আইসিপি-র দাবি দীর্ঘদিনের। হিলিতে আন্তর্জাতিক ব্যবসা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আইসিপি হলে, যদি কিছুটা বাড়ে।" প্রশাসন সূত্রে খবর, হিলি স্থলবন্দরের জন্য প্রথমে জমি চাওয়া হয়েছিল ১০০ বিঘা। কিন্তু অতটা জমি নেই বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়। এখন তার চেয়ে কিছুটা কম জমিতেই (প্রায় ৭৫ বিঘা) হিলি সুসংহত স্থলবন্দর তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে ওই জমি জেলা প্রশাসনের কিনে দেওয়ার কথা।
হিলি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত আইসিপি-র কথা জানতে পেরে, প্রচুর জমিদাতা জমি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে হিলিতে স্থলবন্দর রয়েছে। যদিও যাত্রীদের জন্য সেখানে সুবিধা কম। পণ্য পরিবহণের ব্যবস্থা থাকলেও হিমঘর, পণ্যের মান পরীক্ষা বা যাচাইয়ের (টেস্টিং ল্যাব) সুযোগ নেই। রাস্তায় খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় শুল্ক বিভাগের আধিকারিকদের। সুসংহত স্থলবন্দর চালু হলে, তাতে মিশে যাবে বর্তমানে হিলি স্থলবন্দরের পুরনো সব ব্যবস্থা। সঙ্গে একছাতার তলায় মিলবে আরও বাড়তি ও আধুনিক পরিষেবা।
আরও পড়ুনঃ ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার
দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, “অসুসংহত স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ টাকা দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখন নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি চালু রয়েছে। তা শেষ হলেই, জমি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।