কাঁচালঙ্কায় ঝাল না থাক, দামের ঠেলায় নাস্তানাবুদ মধ্যবিত্ত! কোথায় মমতার টাস্ক ফোর্স?
কলকাতার সবজি বাজারের ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁচালঙ্কায় হাত দিলেই যেন ছেঁকা লাগছে গৃহস্থের। কাঁচালঙ্কা, টম্যাটো, ঝিঙে থেকে বেগুন, সব আনাজের দামই (Vegetable Price) আকাশছোঁয়া। একদিন আগেই হাওড়া ও কলকাতার বাজারগুলিতে অভিযান চালিয়েছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। রাজ্যপাল নিজে বাজারে গেছেন কেন এত দাম খতিয়ে দেখতে। তার পরেও একটুও কমেনি কাঁচা আনাজের দাম। বরং শহরের কোনও কোনও বাজারে দাম আগের থেকেও চড়া। ফলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি সাধের টাস্ক ফোর্সের কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কোন সবজি কী দামে (Vegetable Price) বিক্রি হচ্ছে?
বর্ষা আসতে না আসতেই পাইকারি থেকে খুচরো বাজারে অগ্নিমূল্য (Vegetable Price) শাক-সবজি। নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্ত ক্রেতার। কাঁচালঙ্কা তো ৩০০-৪০০ ছাড়িয়ে গেছে কোথাও কোথাও। একশোর কোটায় চলছে উচ্ছে, বরবটি, ঢেঁড়স। সোমবার টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা বিক্রেতাদের জানান, কাঁচালঙ্কা কেজি প্রতি ৩০০ টাকা নয়, বিক্রি করতে হবে ১০০ টাকায়। কিন্তু বিক্রেতারা জানান, জিনিসের আমদানি নেই। তাঁরা চাইলেও কম দামে বিক্রি করতে পারবেন না। সোমবার মানিকতলা বাজারে কাঁচালঙ্কা বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি। মঙ্গলবার তা সামান্য একটু কমিয়েছেন কোনও কোনও বিক্রেতা। মঙ্গলবার তা বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা কেজিতে। একই ভাবে আদার দাম কমেনি। বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০০ টাকার বেশি দামে। মঙ্গলবার মানিকতলা বাজারে বড় বেগুন এবং টম্যাটো ১৫০ টাকা কেজি। উচ্ছে, করলা, বরবটি ১০০ টাকা কেজি। ঢেঁড়স, শসা, পটল ৮০ টাকা। লঙ্কা সামান্য কমে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি।
দাম বৃদ্ধির (Vegetable Price) কী কারণ জানাচ্ছেন বিক্রেতারা?
দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্ষার শুরুতে জেলায় জেলায় যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা, সেই পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি। ফলে বৃষ্টির অভাবে সবজি মাঠেই শুকিয়ে গেছে। আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। এর পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকে যে সব সবজি আসে, তাতেও নানা কারণে প্রভাব পড়েছে৷ এর ফলে দাম বেড়েই চলেছে। যেমন মণিপুর থেকে আসে উচ্চমানের আদা। সেই রাজ্য এখন নানা কারণে অশান্ত। এর ফলে আদার আমদানি কমেছে, দাম বাড়ছে (Vegetable Price)। অন্যদিকে জ্বালানির দাম যেভাবে বেড়েছে, ভিন রাজ্য থেকে আনাজ আসার ক্ষেত্রে তারও একটা প্রভাব পড়েছে। তীব্র গরমে যে সময় বৃষ্টি হওয়ার কথা, তা না হয়ে দু-এক দিনে বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় গাছে যে সব ফসল ছিল, তা নষ্ট হয়ে গেছে। লঙ্কা ও টম্যাটোর মতো সবজি, যেগুলো হিমঘরে রাখা যায় না, সেই সব সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
পুলিশের জুলুমবাজি
সর্বোপরি রয়েছে পুলিশের জুলুমবাজি। সবজি আমদানিকারীরা জানাচ্ছেন, ভিন রাজ্য থেকে সবজি আনতে গিয়ে অনেক জায়গায় টোল দিতে হয়। যেখানে টোল নেই সেখানে চলে পুলিশের জুলুমবাজি। পুলিশকে টাকা না দিলে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে দেয়। এর ফলে সবজি নষ্ট হওয়ার ভয়ে পুলিশকে টাকা দিয়ে তাদের বেরিয়ে আসতে হয়। পরোক্ষভাবে এর প্রভাব পড়ে বাজারে সবজির দামে (Vegetable Price)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।