২৫ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও অভিযানের ডাক...
যাদবপুরে বিক্ষোভ এবিভিপির।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাদবপুরে (Jadavpur University) নকশালপন্থী, মাওপন্থী যেসব ছাত্র সংগঠন রয়েছে, তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে।” শুক্রবার এমনই দাবি তুললেন এবিভিপির (দক্ষিণবঙ্গ) রাজ্য সম্পাদক সঙ্গীত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “যে ছাত্র সংগঠনগুলির সদস্যদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ উঠছে, তাদের নেতৃত্ব সেই অভিযুক্ত সদস্যদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না কেন?”
ইউজিসিকে আরও কড়া পদক্ষেপের জন্য আবেদন জানানো হবে বলেও জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী, নকশালপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলিকে ২১ অগাস্টের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা ঝোলানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছে এবিভিপি। ২৫ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও অভিযানের ডাক দিয়েছে তারা। এদিকে, এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) তিন নম্বর গেটের সামনে থেকে খুলে ফেলা হয়েছে বিজেপি যুব মোর্চার মঞ্চ। বৃহস্পতিবার এই অবস্থান মঞ্চেই ভাষণ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরই সংঘর্ষ বাঁধে এবিভিপির সঙ্গে আরএসএফের কর্মী-সমর্থকদের। পরে আরএসএফের বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় এফআইআরও দায়ের করেন শুভেন্দু।
শুক্রবারও ওই মঞ্চেই কর্মসূচি ছিল বিজেপির যুব মোর্চার। মোর্চার অভিযোগ, পুলিশ তাদের কর্মসূচি বাতিল করে মঞ্চ খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। এরই প্রতিবাদে ধর্না মঞ্চের সামনেই অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন যুব মোর্চার কর্মীরা। তাঁদের দাবি, শনিবার পর্যন্ত কর্মসূচির কথা জানিয়ে মঞ্চ বাঁধার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার হঠাৎই পুলিশের তরফে আধ ঘণ্টার মধ্যে মঞ্চ খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। সময়ের (Jadavpur University) মধ্যে মঞ্চ খোলা না হলে সব কিছু বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ডেকরেটার্সদের। বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, আমাদের মঞ্চ ঘিরে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ছিল। তৃণমূলও মঞ্চ বেঁধেছিল। কিন্তু সেখানে ভিড় ছিল না। ভয় পেয়েই রাজ্য সরকার পুলিশকে মঞ্চ খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুুন: তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনে যাদবপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে অতি বামপন্থীরা! তোপ সুকান্তর
মঞ্চ খোলা শুরু হতেই মঞ্চের সামনে বসে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পরে যাদবপুর থানার সামনে গিয়েও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ইন্দ্রনীল বলেন, “পুলিশ আমাদের কোনও কর্মসূচিতেই অনুমতি দেয় না। ওরা তৃণমূলের কথায় চলে। আমরা কর্মসূচি পালন করতে পুলিশের অনুমতির অপেক্ষা করব না। হস্টেলে যখন ছাত্রের ওপর অত্যাচার হচ্ছিল, তখন পুলিশ কোথায় ছিল?” বৃহস্পতিবার শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, বাম এবং অতি-বামেরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজেদের ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) থেকে উপড়ে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।