Jamal Uddin Sardar: সোনারপুর শিকলকাণ্ডের মূল নায়ক জামালউদ্দিনের আয়ের উৎস কী জানেন?
জামালের বিরাট বাড়ি। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির সামনেই একটি ঝাঁ-চকচকে গেট, তাতে মার্বেল দিয়ে মোড়ানো। পাঁচিলে ঘেরা বিশাল জমি, তাঁর মধ্যেই নীল-সাদা রঙের সুবিশাল বাড়ি। বাড়ির গা ঘেঁষে আরও একটি বাড়ি। প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে ৫০টি সিসিটিভিতে মোড়ানো রয়েছে গোটা এলাকা। এই বাড়ির মালিক হলেন সোনারপুরকাণ্ডের (Sonarpur) মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী জামালউদ্দিনের। বাড়িটি তাঁর শুধু বসত বাড়ি বললে ভুল হবে। বাড়ির ভিতরেই রয়েছে সুইমিং পুল, দেখে মনে হয় রিসর্ট। পাশের জলা জমিতে ঘোরা ফেরা করছে কচ্ছপ। শখ করে মাত্র কয়েকদিন আগেই এই প্রাণীটিকে নিয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু এই তৃণমূল কর্মীর পেশা কী? কোথায় কাজ করেন? এত আয়ের উৎস কী? এই সব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তবে এলাকায় (Sonarpur) জামালের (Jamal Uddin Sardar) বিচার ছাড়া নাকি কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। সালিশি সভার মূল বিচারক হিসেবে নিদান দিয়ে থাকেন তিনিই। নির্দেশ না শুনলে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে অত্যাচার করেন। জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মী জামালউদ্দিন এক সময় মহুরির কাজ করতেন। কাজের সূত্রে শাসকদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। তবে এখন আর মুহুরির কাজ করেন না। মূলত জমির দালালি করেন। জমি প্রোমোটিং, ফেরাজি জমি বিক্রি করা, বিচার পাইয়ে দেওয়ার নামে তোলাবাজি এবং একই সঙ্গে স্থানীয় রাস্তাঘাট নির্মাণের সরকারি প্রকল্পের কাজে পরিচালনার কাজ করে থাকেন। কিন্তু কোন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা এই কাজের বরাত দিতেন, তা কেউ জানে না। তবে গ্রামের মানুষের অভিযোগ, টাকাপয়সা, প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্কের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলেন না। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে একাধিক বিয়ে জামালের। এক পুত্র এবং এক মেয়ে রয়েছে। পরিবারের আয় কে কে করেন, সেই বিষয়ে সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে সবরকম বেআইনি কাজ করে থাকেন জামাল।
আরও পড়ুনঃ খাটের নীচেই মিলল গোপন সুড়ঙ্গ, কুলতলিতে সাদ্দামের পর্দাফাঁস
শিকল দিয়ে বেঁধে অত্যাচারের ঘটনায় প্রথম মুখ খুলে প্রতিবাদী হয়েছেন রুজিনা বিবি। রুজিনার স্বামীকে শাস্তি স্বরূপ সারারাত উল্টো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারধর করেন জামাল (Jamal Uddin Sardar)। স্বামীকে বাঁচাতে জামালের হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলে তাঁকেও পাল্টা অত্যাচার করা হয়। এদিকে ঘটনায় মুজিদ খাঁ এবং অরবিন্দ সরকার নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বারুইপুর (Sonarpur) আদালতে তোলা হয়েছে তাদের। অপর দিকে জামাল এখনও পলাতক। পুলিশের কাছে ইতিমধ্যে ভূরি-ভূরি অভিযোগ জমা পড়েছে এই জামালের বিরুদ্ধে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।