img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Jhalda: ঝালদা পুরসভা নিয়ে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, পূর্ণিমা কান্দুই অস্থায়ী চেয়ারপার্সন

আদালত তৃণমূলের সুদীপকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে।

img

ঝালদা পুরসভা

  2023-01-20 18:12:53

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝালদা (Jhalda) পুরসভা নিয়ে নাটকে নয়া মোড়। আদালতে মুখ পুড়ল রাজ্যের শাসক দলের। ঝালদা পুরসভার নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার পরে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করলে, তৃণমূল তা নিয়ে আপত্তি তোলে। সেই আপত্তির ভিত্তিতে গতকাল পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক রীতম ঝাঁ নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে যে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। তাতে আদালত তৃণমূলের সুদীপকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে।

কাউন্সিলর (Jhalda) পদ থেকে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলা গ্রহণ করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করে আদালত। বিকেলে সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদ সামলাবেন। সঙ্গে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

গত ১৬ জানুয়ারি ১২টি আসন বিশিষ্ট ঝালদা (Jhalda) পুরসভার নির্বাচন হয়। ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ১ জন নির্দল কাউন্সিলের ভোট আসে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। তার পরদিনই এক নির্দেশিকায় মহকুমাশাসক শীলাদেবীর কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন। প্রশাসনের যুক্তি, নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়যুক্ত হলেও পরে নিজেকে নির্দল ঘোষণা করেছেন তিনি। যা দলত্যাগবিরোধী আইন বিরোধী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি।

এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থন পেয়েই বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ঝালদা (Jhalda) পুরসভা গেল কংগ্রেসের দখলে। পুরপ্রধান হওয়ার লোভে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন শীলা, এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল।

আরও পড়ুন: প্রবল তুষারপাত, ফের ভূমিধসের আশঙ্কা! আস্তে আস্তে বসছে জোশীমঠ    

এর আগে এই পুরসভায় (Jhalda) নির্বাচনে পাঁচটি আসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং পাঁচটি আসন কংগ্রেস পায়। দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পুরবোর্ডের দখল করেছিল। তারপর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলে সুরেশ আগরওয়াল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। আস্থাভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। কিন্তু বোর্ড গঠন করতে পারেনি। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়।

তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

ঝালদাকাণ্ডে (Jhalda) এবার দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রশ্নে প্রশাসনকে খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু মুকুল রায়কে কটাক্ষ করে বলেন, "বিধানসভায় বিজেপি সেজে জনসমক্ষে তৃণমূল বিধায়ক হয়ে ঘুরছেন গিরগিটিরা। এই বিধায়করা দিদির সুরক্ষা কবচের জোরে দলত্যাগ বিরোধী আইন থেকে সুরক্ষিত।"

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Tags:

Calcutta High court

Jhalda Municipality


আরও খবর


ছবিতে খবর