School: ঝাড়গ্রামের স্কুলের মেঝেতে ধস! আহত ২ ছাত্র…
স্কুলে ধসের গর্ত থেকে তোলা হচ্ছে বেঞ্চ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের দেওয়াল, ছাদ ভেঙে পড়ার কথা আগেও শোনা গিয়েছে, কিন্তু একেবারে ক্লাস রুমের মেঝেতে ধস নেমেছে! শুধু মাটি ধসে গিয়েছে এমনটাই নয়, কার্যত প্রায় ৫ ফুটের একটি বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) নয়াগ্রাম থানার নিচু পাতিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে নয়াগ্রাম (Jhargram) থানার নিচু পাতিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীতে ভর্তি একটি ক্লাসে ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিরা। কিন্তু এর মধ্যেই আচমকা একটি ক্লাস রুমের একাংশ মাটি বসে যায়। মাটি মেঝের সমতল থেকে অনেকটাই ভিতরে ঢুকে যায়। সেই সঙ্গে ক্লাসের বেঞ্চ সমেত গর্তে ঢুকে যায় স্কুলের ৪ পড়ুয়া। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে স্কুলের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বেঞ্চে বসে থাকা চারজন ছাত্র (School) গর্তে পড়ে গিয়েছিল। দ্রুত তাদের গর্ত থেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে তাদের চিকিৎসা করা হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, “এই স্কুল সুবর্ণ রেখার (Jhargram) নদী থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে। ২০০৬ সালে বন্যায় এই স্কুলটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। স্কুলের নিচে থাকা মাটি হালকা হয়ে যাওয়ায় এই ভাবে ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রশাসন আগে থেকে নজর দিলে এই বিপত্তি এড়িয়ে যাওয়া যেতো।” এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পৌঁছায় স্কুলে। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের সব রকম আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মিড ডে মিলের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু ছাত্রের, শিক্ষকদের মার, স্কুলে ভাঙচুর, আগুন
এই প্রেক্ষাপটে (Jhargram) স্কুলের (School) শিক্ষক অনুকুল কুমার বেরা বলেছেন, “এগারটায় ক্লাস শুরু হয়েছিল। আর ১১টা ২৫ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই ক্লাসের একটা বেঞ্চে ৪ জন ছাত্র বসে ছিল। দেখা যায় চার ছাত্র বেঞ্চ সমেত মাটির নিচে ঢুকে যায়। দেখা মাত্রই স্কুলের শিক্ষকরা সকলে ছুটে আসেন। এরপর খবর জানাজানি হতেই গ্রামবাসী এবং অভিভাবকেরা ছুটে আসেন স্কুলে। তারপরেই সকলকে গর্ত থেকে তোলা হয়। ইতিমধ্যে ২জন ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে।” গোটা স্কুলে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন কতটা সুরক্ষিত, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে অভিভাবকদের মধ্যে। আগামীদিনে সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন কিনা এই নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন তাঁরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।