img

Follow us on

Saturday, Sep 21, 2024

Ju Student Death: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে নদিয়ায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন, কী বললেন?

'যাদবপুর কি অন্য কোনও গ্রহ?' কেন বললেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

img

নদিয়ায় মৃত ছাত্রের বাড়িতে শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন (নিজস্ব চিত্র)

  2023-08-13 16:11:14

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর (Ju Student Death) নদিয়ার বাড়িতে যান পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুকে পকসো আইনের অধীনে আনার দাবি করল পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন। রবিবার নদিয়ায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। 

কী বললেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

স্বপ্নদীপের (Ju Student Death) বয়সের উল্লেখ করে শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, এই ঘটনা পকসো আইনের অধীনে পড়ে। স্বপ্নদীপের ১৮ বছর বয়স হয়নি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৯ মাস ৯ দিন। তাই এই ঘটনায় পকসো আইনে বিচারের দাবি করা হয়েছে। পরে, অনন্যা আরও বলেন, ছেলেটিকে উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ওর দেহে সিগারেটের ছ্যাঁকা ছিল। ও নিজেও ফোন করে ভাইকে জানিয়েছিল, ওকে সমকামী বলা হচ্ছে। তাই এটি যৌন নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে। পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেও আক্রমণ করেছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তিনি বলেন, যাদবপুর কি অন্য কোনও গ্রহ? দেশের আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়ম আছে, এখানে তা মানা হবে না কেন? কেন ক্যাম্পাসে, হস্টেলে সিসি ক্যামেরা থাকবে না? আমরা যখন সিসিটিভি বসাতে বলেছিলাম, ওখানকার এক অধ্যাপক ফুটপাতে ক্লাস নিতে শুরু করেন। ওখানে সিনিয়র এবং প্রাক্তনিদের দাদাগিরি চলে। কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না। এর আগে প্রাক্তন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অধ্যাপক এবং পড়ুয়ারা এর বিরোধিতা করেছিলেন। তাই আজকের ঘটনায় কেউ দায় এড়াতে পারে না। সিসিটিভি থাকলে আমরা জানতে পারতাম হস্টেলে কী হয়েছিল। সকলের হাতেই রক্তের দাগ লেগে আছে। সকলেই আমাদের আতশকাচের নীচে। আমরা পৃথক ভাবে ঘটনার তদন্ত করছি।

ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে ধৃত দুই পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর (Ju Student Death) ঘটনায় তদন্তে নেমে ফের দুই জনকে গ্রেফতার  করা হল। ধৃতদের মধ্যে মনোতোষ ঘোষের বাড়ি আরামবাগ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত পড়ুয়ার বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডুর  অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে মনোতোষ ঘোষকে। মনোতোষের মা বলেন, ছেলের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হত। স্বপ্নদীপ বেড না পেয়ে একদিন আমার ছেলের ঘরে ছিল। সেই সূত্রে পরিচয় হয়েছিল। তার বেশি কী হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। প্রত্যেকদিনই মনোতোষ বাড়িতে ফোন করতো একটা কথাই বলতো তোমাদের কোনও ভয় নেই। পুলিশ হয়তো কিছু জিজ্ঞাসার জন্য ডাকতে পারে। যাদপবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার  হওয়া দুই ছাত্রের মধ্যে একজন বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা। নাম দীপশেখর দত্ত। শহরের মাচানতলার ফেমাস হোটেলের গলির বাসিন্দা দীপশেখর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত। তাঁর বাবা মধুসুদন দত্ত পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা আমি সমর্থন করি না। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করেছে ছেলেকে। এবার পুরোটাই আইনি বিষয়।তবে, আমি মনে করি ছেলে এই ঘটনায় যুক্ত নয়।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Nadia

JU Student Death


আরও খবর


ছবিতে খবর