সন্দেশখালিকাণ্ডে এ কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?...
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।” সন্দেশখালিকাণ্ড প্রসঙ্গে মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের যে সব অভিযোগ উঠেছে তা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। প্রশ্ন তোলেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। তার পরেই তিনি বলেন, “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।”
মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “আমি আমার জ্ঞান হওয়া থেকে এসব শুনিনি। যা দেখলাম টিভিতে। যেসব কথা ওঁরা বলছেন - বলা হচ্ছে রাতে ফোন করে ডাকা হত। জোর করে মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়া হত।” তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। সেটা জানা থাকলেও, রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ও ক্ষুদ্ধ। আপাতত আমি মুখ বন্ধ করেই রেখেছি।”
রেশন বণ্টনকাণ্ডে নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি। সেই সময় ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা ইডির ওপর চড়াও হয়। ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই কর্তা। জখম হন সিআরপিএফের দুই কর্মীও। এর পরেই পালিয়ে যান শাহজাহান।
আরও পড়ুুন: রাজ্যপালের কনভয়ে অন্য গাড়ি, নেপথ্যে হাত তৃণমূলের শাহজাহানের!
শনিবার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় মহিলাদের রাতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত পার্টি অফিসে। না গেলে হুমকি দেওয়া হত। সন্দেশখালির এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। মঙ্গলবার দিল্লিতে এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটেছে, তা গোটা দেশের জানা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন স্মৃতি। সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গিয়েছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধার সম্মুখীন হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মহিলা নির্যাতনের প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) প্রশ্ন, “প্রশাসন কি জানত না এমন ঘটনা ঘটছে? নাকি পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও চোখ বুজে ছিল?”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।