প্রাথমিকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে!
কলকাতা হাইকোর্ট
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্য জমানার আরও এক দুর্নীতি এল কলকাতা হাইকোর্টের নজরে! অ্যাপটিটিউড পরীক্ষা না নিয়েই 'ফুল মার্কস' পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা! ৬ পরীক্ষার্থীর বয়ান নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ, "২০১৬ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয় নি।" প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির হলফনামা আকারে কৈফিয়ত তলব হাইকোর্টের। ৭ দিনে এই মামলার হলফনামা তলব করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। আদালত হলফনামায় জানতে চান, অ্যাপটিটিউড টেস্ট না হলে নম্বর বন্টন কী ভাবে হল? ফের অস্বস্তিতে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
প্রাথমিকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে! কলকাতা হাইকোর্টে সাক্ষী দেন ৬ জন চাকরিপ্রার্থী। এ বিষয়ে ৭ দিনের মধ্যে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশ, ২৪ জানুয়ারির মধ্যে পর্ষদ সভাপতিকে জানাতে হবে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কি না। পাশাপাশি, তিনি হলফনামা দিয়ে জানাবেন এ বছর কী পদ্ধতিতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'মানচিত্রে আজাদ কাশ্মীর চিহ্নিত করো'!, পর্ষদের মাধ্যমিক টেস্ট পেপারের প্রশ্নে বিতর্ক
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউর অংশ হিসাবে অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়। তার জন্যে আলাদা নম্বর নির্ধারিত ছিল। নিয়ম অনুযায়ী (Justice Abhijit Ganguly) অ্যাপটিটিউড টেস্ট বাধ্যতামূলক। মূলত চক পেনসিল, ব্ল্যাকবোর্ডের ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়। কিন্তু অভিযোগ এই অংশটিকে বাদ দিয়েই শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।
এই মামলায় প্রিয়ঙ্কা নস্কর-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। চাকরিপ্রার্থীরা সাক্ষী দিয়ে জানা যায়, বেশির ভাগ জেলাতেই অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়নি। অনেক জায়গায় শ্রেণিকক্ষের পরিবর্তে বারান্দায় ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। একজন পরীক্ষার্থী জানান, সব নিয়ে ৪টে প্রশ্ন করা হয়। ঘরে দুজন ছিলেন ইন্টারভিউ নেওয়ার সময়। কোনও ব্ল্যাকবোর্ড ছিল না।
মামলাকারীদের আইনজীবী (Justice Abhijit Ganguly) তরুনজ্যোতি তিওয়ারি জানান, "অধিকাংশ জেলায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়াই হয়নি। পরীক্ষার্থী অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নম্বর কী ভাবে পেলেন, তা জানতে চায় আদালত। এক্ষেত্রেই দুর্নীতি, বেছে বেছে অ্যাপটিটিউড টেস্টের নম্বর বসানো হয়েছে। আমার মামলাকারীদের অনেককে ২ বা ৩ নম্বর দেওয়া হয়েছে। অথচ চাকরি প্রাপকদের সেই নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।