Calcutta High court: এসএসসিতে ২৬ হাজারের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝে প্রাথমিকের ৪২ হাজার পদের নিয়োগ ঘিরে উঠল প্রশ্ন...
বিচারপতি অমৃতা সিনহা (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসিতে ২৬ হাজারের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা চলছেই। এরই মাঝে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High court) প্রশ্ন উঠল, প্রাথমিকের ৪২ হাজার পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে। মঙ্গলবারই হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) ওই ৪২ হাজার চাকরির নিয়োগ প্যানেল দেখতে চান। এছাড়া, এ বিষয়ে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বিশেষ নির্দেশও দিয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিকের ওই নিয়োগ প্যানেল আদালতে জমা করতে হবে বলে জানা গিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৩০ জুলাই।
মঙ্গলবারে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে শুনানির জন্য ওঠে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৬ সালে। সে সময় রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ৪২০০০ পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কিন্তু ২০১৬ সালের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না। নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগ আনেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জনৈক সোমনাথ সেন নামে এক চাকরিপ্রার্থী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে।
মামলা চলাকালীন বিচারপতি (Justice Amrita Sinha) সিনহা জানতে চান, ‘‘ওই ৪২ হাজার নিয়োগের তালিকা কোথায়? কারা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেয়েছিলেন?’’ জবাবে মামলাকারীর যুক্তি শোনার পর তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘প্যানেল মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও নিয়োগের তালিকা থাকা দরকার। কারা যোগ্য এবং কারা চাকরি পেলেন, তা প্যানেল থেকেই জানা সম্ভব।’’ এর পরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, ‘‘নিয়োগ যখন হয়েছে, প্যানেল তো থাকবেই। সেই প্যানেলই আদালত দেখতে চায়।’’ এখন দেখার আগামী ৩০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন বিচারপতি কী নির্দেশ দেন। তার আগে অবশ্য ২০১৪ সালের টেটের ৪২ হাজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল আদালতে (Calcutta High court) জমা দিতে হবে পর্ষদকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।