হাইকোর্ট সূত্রে খবর, দিল্লি যাচ্ছেন বিচারপতি মান্থা...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আইনজীবীদের একাংশ। তার জেরে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। ওই ঘটনায় শুক্রবার তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ তৈরি হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ। এদিকে, হাইকোর্ট সূত্রে খবর, দিল্লি যাচ্ছেন বিচারপতি মান্থা। আইনজীবীদের একাংশের অনুমান, গত কয়েক দিনের ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা...
গত সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে বিক্ষোভ শুরু করেন আইনজীবীদের একাংশ। মঙ্গলবার পরিস্থিতি চরমে ওঠে। দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়েছিল হাইকোর্ট চত্বর। ডাক দেওয়া হয়েছিল বিচারপতি মান্থার এজলাসও। কিছু মামলায় তাঁর পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশে অসন্তুষ্ট আইনজীবীদের একাংশ। তার জেরে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। মান্থার এজলাস বয়কটের পাশাপাশি পোস্টার পড়ে তাঁর বাড়ির সামনেও। আইনজীবীদের টানা বিক্ষোভের জেরেই গত বুধবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, আদালত কক্ষ অবরোধ করে বিচার করতে না দেওয়া অপরাধের সমতুল্য। কারণ এর ফলে বিচারব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ। এভাবে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রুল জারি করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই গঠিত হয়েছে বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ।
আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর
এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। ঘটনার তদন্ত করতে বাংলায় তিন সদস্যের দল পাঠাচ্ছে তারা। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের পাঠানো দল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে যাবেন। যেখানে ঘটনা ঘটেছিল, সেই জায়গাও পরিদর্শন করবেন। তাঁরা কথা বলতে পারেন বিচারপতি মান্থার সঙ্গেও। অন্যদিকে, বিক্ষোভ প্রদর্শন বন্ধ হলেও, অচল হয়ে রয়েছে বিচারপতি মান্থার ১৩ নম্বর এজলাস। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৪০টি মামলায় যোগ দেননি সরকারি আইনজীবীরা।