পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।
রাজভবন
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতির (Justice Rajasekhar Mantha) বাড়ির রাস্তায় পোস্টার মারা কাণ্ডের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতিরা। লেক থানার পর হেয়ার স্ট্রিট থানাতেও মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের হাতে এসেছে সিসিটিভি ফুটেজও। তাও কেন গ্রেফতার করা হল না দোষীদের? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে দোষীদের খোঁজ চলছে।
এরই মাঝে নগরপাল এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে রাজভবনে তলব করেছেন রাজ্যপাল (Justice Rajasekhar Mantha) সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের জরুরি তলবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে বেনজির বিক্ষোভের জেরেই তাঁদের ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।
গত সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটানো ঘিরে উত্তপ্ত হয় আদালত চত্বর। সোমবার সকালে, দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির চারদিকে এই সমস্ত পোস্টার দেখা যায়। কারা পোস্টার দিয়েছে, তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে, সে দিনই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ।
এদিকে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বাড়ির আশপাশে পোস্টার লাগানোর ঘটনায় আগেই এফআইআর দায়ের করেছে লেক থানা। মামলা করতে চেয়ে আলিপুর আদালতের অনুমতিও চাওয়া হয় থানার তরফে। অনুমতি পাওয়ার পর এফআইআর দায়ের করা হয়।
গত মঙ্গলবার আদলত অবমাননার রুল জারি করেছেন বিচারপতি মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, এজলাসের বাইরের সিসিটিভি দেখে সেই সব ব্যক্তি এবং আইনজীবীদের শনাক্ত করতে হবে। এরপর বুধবার এজলাসের সামনে থেকে সেই অবস্থান তুলে নেওয়া হয়েছে।
১. বিচারপতির (Justice Rajasekhar Mantha) সম্মানহানি হয় এ ধরনের অভিযোগের সঙ্গে তাঁর বাসস্থান নিয়ে ভুল এবং মিথ্যা তথ্য পোস্টারে লেখা হয়েছে।
২. এজলাসে দরজা বাইরে থেকে আটকে বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মীদের ভিতরে প্রবেশ করতে না দিয়ে কিছু আইনজীবী এবং অন্য ব্যক্তিরা পরিষ্কারভাবে এই সাংবিধানিক আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে।
৩. কিছু আইনজীবী এবং অন্য ব্যক্তিরা চোখ রাঙিয়ে, হুমকি দিয়ে, আদালতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেন।
৪. পোস্টারে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আদালতের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে চেয়েছেন। একজন বিচারপতির বাড়ি এবং হাইকোর্ট চত্বরে এই ধরনের মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন এবং বেপরোয়া পোস্টার কলঙ্কজনক। এর মাধ্যমে আদালত এবং বিচারপতিকে কলঙ্কিত করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে।
৫. জনমানসে এবং মানুষের চোখে আদালত এবং বিচারপতির ক্ষমতাকে ছোট করে দেখানোর প্রবণতা দেখা গিয়েছে।
৬. বাইরে থেকে এজলাস বন্ধ করে এবং পোস্টার মেরে কিছু আইনজীবী এবং অন্য ব্যক্তিরা বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত মানুষের আত্মবিশ্বাস নাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।