বীরভূমে দলীয় সভায় কাজলের গলায় অনুব্রতের বুলি, ঠিক কী বলেছেন?
দলীয় সভায় তৃণমূল নেতা কাজল শেখ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: 'চড়াম-চড়াম', 'নকুল দানা' সহ আরও কত কী! তৃণমূলের বীরভূম (Birbhum) জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দৌলতে বঙ্গ রাজনীতিতে এই সব শব্দের আমদানি হয়েছিল। গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত এখন তিহার জেলে রয়েছেন। তাতেও যে অনুব্রতহীন বীরভূমে শাসক নেতাদের তেজ একটুকুও কমছে না, তা প্রমাণ করলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। এখন তিনিও সেই অনুব্রতের ঢঙে হুঁশিয়ারি দেওয়া শুরু করেছেন।
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ধীরে ধীরে তপ্ত হতে শুরু করেছে বাংলার মাটিও। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের সুরেই বীরভূমে (Birbhum) দাঁড়িয়ে হুমকির সুর শোনা গেল কাজল শেখের গলায়। তিনি বললেন, 'খেলা হবে অপেক্ষা করুন।' এদিন কাজল বললেন, ভোটের আগে বহিরাগতরা বীরভূমে এলে তাদের কোথায় পাঠাতে হবে, সেটা আমি ঠিক সময়ে দলীয় কর্মীদের জানিয়ে দেব।' বীরভূমের রামপুরহাটে দলের শ্রমিক সংগঠনের একটি সভা ছিল। সেখানেই রণংদেহি মেজাজে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখার সময় দলের কর্মীদের উদ্দেশে কাজল বলেন, 'ভোটের সময় অন্য রাজ্য থেকে প্রতিবারই আসে। ওরা আসবে। আমাদের আজকের প্রজন্মের তরুণ ভাইদের টাকার লোভ দেখিয়ে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করবে। আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করবে। তাই আমি আমার ভাইয়ের বলব তোমরা একজোট হও, সব সময় চোখ খোলা রেখো, ঘুমিয়ে থেকো না। তাদের সকলকেই নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে হবে। তবে কোথায় পাঠাতে হবে সেটা এখন বলব না। সময় এলে ঠিক বলে দেব।' কেষ্টর ঢঙে তাঁর এই হুঁশিয়ারি নিয়ে এখন জেলাজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জেলায় অনুব্রত বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কাজল। তিহারে যাওয়ার পর থেকে দলের সংগঠনের রাশ কাজলের হাতে চলে আসে। দিন দিন কোণঠাসা হয়ে প়ড়ছে কেষ্ট অনুগামীরা। দলীয় কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে কেষ্টর নাম।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।