Trinamool Congress: কল্যাণী শহরে তৃণমূল নেতার জুলুমবাজি, আতঙ্কে ব্যবসায়ী
কল্যাণীতে দোকান বন্ধ করে দিলেন তৃণমূল নেতা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়া, আড়িয়াদহের পর এবার কল্যাণী (Kalyani) । তৃণমূল নেতার 'দাদাগিরি'র সাক্ষী থাকলেন শহরবাসী। নিজের দাপট দেখাতে দোকানে তালা দিলেন তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণী পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির দুলালকৃষ্ণ মজুমদারের বিরুদ্ধে দাদাগিরি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
কল্যাণী (Kalyani) পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। সেই দোকানের পাশে একটি বাথরুম তৈরি করছিলেন দোকানের মালিক। আচমকা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দুলালকৃষ্ণ মজুমদার এসে কাজ বন্ধ করে দেন। তারপর দোকানের শাটারের ওপরে তালা লাগিয়ে দেন। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও কথা শোনেননি। দোকানের মালিকের ছেলে বলেন, তৃণমূলের নেতা বলেই যা খুশি করে যাবে। আমাদের কোনও কথা শোনা হবে না। এভাবে আমাদের দোকান কেন ওই তৃণমূল নেতা বন্ধ করলেন তা বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ ও কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছে সমস্ত বিষয়টি। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আসলে শাসকদলের নেতা বলে পুলিশ তাঁর গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে না। চরম আতঙ্কে রয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে আমরা এই এলাকায় ব্যবসা পর্যন্ত করতে পারব না।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন
অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা দুলালকৃষ্ণ মজুমদার কার্যত ওই দোকানে (Kalyani) তালা লাগানোর কথা স্বীকারও করে নেন। তিনি বলেন, "ওই জায়গায় অবৈধ নির্মাণ করছিলেন ফার্নিচারের দোকানদার। আমি সরকারি কোনও পদে নেই তো কী হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ওই ওয়ার্ডের সভাপতি আমি। তাই আমার এসব দেখার দায়িত্ব আছে। সেই কারণেই দোকান বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দিয়েছি"। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন, "আমি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ওই ব্যবসায়ীকে প্রশাসনের কাছে জানাতে বলেছি। দলকেও আমি জানিয়েছি"।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, "এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সংস্কৃতি। রাজ্যজুড়ে তো এখন এটাই হচ্ছে। ব্যবসায়ীকে হয়তো তোলা চেয়েছিলেন, সেটা না দেওয়ার তৃণমূল নেতা দোকানে তালা দিলেন। দোষীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।