Lynching: এবার গণপিটুনির ঘটনা ঘটল আড়িয়াদহে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
আক্রান্ত যুবকের মধ্যে একজন। নাম সূর্য দাস (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যে গণপিটুনির ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠল কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার আড়িয়াদহ এলাকা। এক যুবক ও তাঁর বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ছেলেকে মারতে দেখে মা বাঁচাতে আসেন। তাঁকেও রক্তাক্ত করে হামলাকারীরা। হামলার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। যদিও পুলিশের দাবি, হামলার ঘটনায় ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত দুই যুবকের নাম সায়নদীপ পাঁজা এবং সূর্য দাস। আড়িয়াদহ এলাকায় সায়নদীপের বাড়ির (Kamarhati) সামনে রাস্তার ধারে বসে বন্ধু সূর্য দাসের সঙ্গে তিনি গল্প করেছিলেন। রাস্তা দিয়ে মদ্যপ অবস্থায় এক যুবক যাচ্ছিল। তার সঙ্গে সায়নদীপের কোনও একটি বিষয় নিয়ে বচসা হয়। এরপরই ওই যুবক দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায়। আক্রান্ত সূর্য দাস বলেন, রাত একটা নাগাদ আমি সায়নদীপের সঙ্গে গল্প করছিলাম। একজন মদ্যপ অবস্থায় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। আমাদের দেখে দাঁড়ায়। এরপর ও পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করে। আমরাও ওকে চলে যেতে বলি। ও চলে যাই। কিছুক্ষণ পর ও তালতলা স্পোটিং ক্লাব থেকে বেশ কয়েকটি ছেলেকে নিয়ে আসে। বাইকে করে তারা এসেছিল। তারা সায়নদীপকে এসে মারধর করতে থাকে। আমি বাধা দিতে গেলে ওরা আমাকেও বেধড়ক মারে। রাস্তায় চিৎকার শুনে সায়নদীপের মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। চোখের সামনে ছেলেকে মারছে দেখে তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকেও রেহাই দেয়নি হামলকরারীরা। মারধর (Lynching) করে তাঁর মুখ ফাটিয়ে দেয়। এরপর আমাকে সামনে পেয়ে তারা ফের আমার ওপর হামলা চালায়। আমার মাথায়, বুকে চোট লেগেছে। আর সায়নদীপের চোট গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জয়ন্ত সিংহের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের থেকে কেড়ে নেওয়া হোক পুলিশের দায়িত্ব, বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবি শুভেন্দুর
ঘটনার পর রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়নি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, হামলা কারা চালিয়েছিল, সিসিটিভি ফুটেজে সব রয়েছে। মা ও তাঁর ছেলেকে নৃশংসভাবে মারধর (Lynching) করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনার পরও হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা আতঙ্কিত। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।