Victim: বার বার প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে কামদুনির নির্যাতিতার পরিবারকে…
কামদুনি গ্রাম। প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে কামদুনিকাণ্ডের (Kamduni Rape) নির্যাতিতার ছোট ভাইকে। এমনটাই অভিযোগ তুলছেন নিপীড়িত পরিবার। এদিন পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, রীতিমতো কাজ করার জায়গায় গিয়ে দুষ্কৃতীরা নজরদারি চালাচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না, পুলিশ কার্যত নিষ্ক্রিয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডে চার জনকে ফাঁসি ও যাবজ্জীবনের শাস্তি থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে রাজ্য এবং কামদুনির নির্যাতিতার (Victim) পরিবার। গত বছর সুপ্রিম কোর্ট এই মুক্তির রায়ের উপর কিছু শর্ত আরোপ করেছিল। যার মধ্যে ছিল, অভিযুক্তরা নিজেদের গতিবিধি সম্পর্কে রাজারহাট থানাকে নিয়মিত জানাবে। একই ভাবে নির্যাতিতার পরিবারের (Kamduni Rape) সঙ্গে কোনও রূপ যোগাযোগ করতে পারবে না।
কামদুনিকাণ্ডের (Kamduni Rape) নির্যাতিতার (Victim) ছোট ভাইয়ের অভিযোগ, “আমাকে খুন করার ছক করা হচ্ছে। আদালত যাদের মুক্তি দিয়েছে তারাই এই কাজ করছে। একদিন কর্মস্থল, ক্ষুদ্র ও কুটীর শিল্প দফতর থেকে ফিরছিলাম, হঠাৎ শুনতে পাই আমি সামনেই আছি। লাঙলাপোতা মোড়ে লোকজন জড়ো করে ওই দিন আমাকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। দুই-তিনজন আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে হুমকি দিচ্ছিল। এরপর আত্মীয়দের ডেকে, তাঁদের সাহায্যে বাড়িতে ফিরি। আবার লোকসভা ভোটের সময় আমাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, আমি ভোট দিতে গেলে আমাকে মারা হবে। কিন্তু ঘটনার বিবরণ জানিয়ে থানায় অভিযোগ করলে থানা থেকে জিডি নম্বর পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।” অপর দিকে কামদুনির (Kamduni Rape) প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল জানিয়েছেন, “গত ২৩ জুন, আমার স্বামী বিশ্বজিৎ মণ্ডলের উপর হামলা করে কিছু দুষ্কৃতীরা। শনিবার বিকেলে আকন্দকেশরী সেতু থেকে ঘটনাস্থল পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে।”
আরও পড়ুনঃসোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল
এই বিষয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন নিউটাউনের উপ—নগরপাল মানব সিংলার দাবি, “পুলিশের কাছে সেই ভাবে হুমকির (Kamduni Rape) কোনও অভিযোগ নেই। এমন তো হওয়ার কথা নয়, রাজারহাট থানার সঙ্গে কথা বলব।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।