img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Kanchanjungha Accident: কীভাবে ঘটল কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনা, কী বললেন মালগাড়ির সহকারী চালক?

Train: কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে সহকারী চালকের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য…

img

কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনার চিত্র। সংগৃহীত চিত্র।

  2024-06-22 18:52:46

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনার (Kanchanjungha Accident) দায় প্রথম থেকেই মালগাড়ী ট্রেন চালকের দিকে চাপানো হয়েছে। রেলের তরফ থেকেও চালকের দিকেই আঙুল তোলা হচ্ছিল। এই সব কিছুর মধ্যে ‘যৌথ পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট’ জমা দিয়েছে। রেলের নিয়ম অনুযায়ী কাগুজে সিগন্যাল পাওয়ারে ধীর গতিতে মালগাড়ি চালানোর কথা ছিল চালকের। কিন্তু ট্রেন দ্রুত গতিতে চলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার দিনে চালক এবং সহকারী চালকের মৃত্যু ঘটেছে বলে রেল জানালেও, পরে জানা গিয়েছে চালক মারা গিয়েছেন কিন্তু সহকারী চালক মনু কুমার এখনও বেঁচে আছেন। মনু জানিয়েছেন, “আমরা জানতামই না একই লাইনে আরও একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে।”

কী বলেন সহকারী চালক (Kanchanjungha Accident)?

সহকারী চালক মনু কুমার বলেছেন, “রেল লাইনে বাঁক ছিল। আর তাই দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসটি আমাদের নজরে আসেনি। ফলে সময় মতো ট্রেনে ব্রেক কষে দুর্ঘটনা (Kanchanjungha Accident) এড়ানো সম্ভব হয়নি। যেই ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে, তার ২০০ মিটার আগে লাইনটি বাঁক খেয়েছে। এদিকে আবার দুর্ঘটনার সময় পাশের ট্র্যাকে অন্য একটি ট্রেন যাচ্ছিল। এই সব মিলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটি নজরে পড়েনি আমাদের। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নজরে আসতেই জরুরি ব্রেক কষেছিলেন চালক। কিন্তু ব্রেকের গতি টেনে সামনের দিকে নিয়ে যায়।"

আরও পড়ুনঃ চোপাড়ায় চা বাগান দখল করতে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি তৃণমূল নেতার! আহত ২

যৌথ রিপোর্ট অনুযায়ী বক্তব্য

যদিও রেলের সেফটি কমিশনারের তদন্তকারী অফিসারেরা মনুর বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করে দেখেছেন। তাঁর মানসিক পরিস্থিতি এবং শারীরিক চিকিৎসা বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন। যৌথ রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, “নিয়ম অমান্য করে বেশি গতি নিয়ে চলায় এই দুর্ঘটনা (Kanchanjungha Accident) ঘটেছে।” কমিটির একজন চিফ লোকো ইন্সপেক্টর অবশ্য ভিন্ন মত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ভোর থেকে অটোমেটিক সিগন্যাল খারাপ হওয়ায় এই গোটা সেকশনে 'অ্যাবসোলুট ব্লক' করা উচিত ছিল। একটা সময়ে এই লাইন দিয়ে একটি ট্রেনকেই পার করার অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল।” রাঙ্গাপানি স্টেশন মাস্টার কাগুজে সিগন্যাল দিয়েছিলেন। প্রতি অটোমেটিক সিগন্যালে ১ মিনিট করে অপেক্ষা করতে হবে। গতিবেগ থাকবে ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। তবে ট্রেনের গতি যেন ১৫ কিমির বেশি না হয়। এমনকী দুর্ঘটনাস্থল দিয়ে খুব ধীরে মালগাড়ি চালানোর কথা ছিল। কিন্তু গতি বেশি থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন্যালিং, মেকানিকাল এবং ট্রাফিক দফতরের বাকি আধিকারিকরা এই দুর্ঘটনার দায় চাপিয়েছেন মালগাড়ির মৃত চালকের ঘাড়েই।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

 

Madhyom

West Bengal

bangla news

Bengali news

rail

news in bengali

state news

Kanchanjungha Accident

signals break down


আরও খবর


ছবিতে খবর