শিলিগুড়িতে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে রাজ্যপাল, কী বললেন?
শিলিগুড়িতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (নিজস্ব চিত্র)ক
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় নৃশংসভাবে খুন হওয়া ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যপাল। রবিবার দুপুরে মাটিগাড়ায় ওই ছাত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। প্রায় আধঘণ্টা তিনি মৃত ছাত্রীর বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এভাবে এই ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় তিনি যে ব্যথিত এবং রাজ্যে কন্যা তথা মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তার ইঙ্গিত এদিন রাজ্যপালের বক্তব্যে পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্পে সাফল্য নিয়েও প্রশ্নের সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের বক্তব্যে।
এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সোজা চলে যান মাটিগাড়ায় ওই মৃত নাবালিকা ছাত্রীর বাড়িতে। সেখান থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। রাজ্যপাল বলেন, মাটিগাড়ার ওই নাবালিকা ছাত্রীকে যেভাবে খুন করা হয়েছে তাতে আমি বাকরুদ্ধ। অত্যন্ত নিষ্ঠুর ঘটনা। বাংলায় কোনও কন্যার উপর এমন ঘটনা হওয়া উচিত নয়। পরিবারের পাশে আমি থাকব। কন্যা আছে বলেই কন্যাশ্রী। কন্যারাই যদি সুরক্ষিত না হয় তাহলে কন্যাশ্রী সফল হবে কিভাবে? কন্যাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আশা করব, দোষী দ্রুত উপযুক্ত শাস্তি পাবে।
রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই এলাকাবাসী প্রশ্ন তোলেন, এক নাবালিকা ছাত্রীকে নির্মমভাবে খুন করার পরও মুখ্যমন্ত্রী কেন শিলিগুড়িতে এলেন না? এদিন রাজ্যপাল এসে ওই ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরবতা নিয়ে মুখর হন স্থানীয় নাগরিকরা। সকলেরই প্রশ্ন, এরকম ঘটনার পরও কেন মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও একবারের জন্য ওই ছাত্রীর বাবা- মা'র সঙ্গে দেখা করতে এলেন না। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে থাকা বিজেপির দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, মণিপুর নিয়ে বেশি ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই, সেখানে তিনি তাঁর প্রতিনিধি দল পাঠান। সেখানে কলকাতা থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়িতে এক নাবালিকা ছাত্রীকে নির্মমভাবে খুন করার ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যথিত করেনি,তাই তিনি এখনও আসেননি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।