Murshidabad: বিতর্কে নাম জড়ানো কার্তিক মহারাজ পেলেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা!
সংগৃহীত চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মাঝেই আচমকা চর্চায় উঠে এসেছিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) ওরফে স্বামী প্রদীপ্তানন্দের নাম। তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আবহ মিটতেই এবার সেই কার্তিক মহারাজ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেতে চলেছেন। সূত্রের খবর, এ বার থেকে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার জওয়ান।
লোকসভা ভোটের মধ্যে গত ১৮ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরামবাগের সভা থেকে সরাসরি কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন, “আমি ভারত সেবাশ্রম সংঘকে অনেক সম্মান করতাম, কিন্তু যে লোকটা তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেন না তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে ‘ডাইরেক্ট পলিটিক্স’ করে দেশটার সর্বনাশ করছে।" মমতা এও বলেন, "সব সজ্জন সমান হয় না। সব সাধুও সমান নয়। আমাদের মধ্যেই কি সবাই সমান আছেন? আমি আইডেনটিফাই করেছি বলেই বলছি।"
এর পরেই বিষয়টি নিয়ে সরব হন মহারাজ। বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। ওই বক্তব্যে তাঁর ‘মানহানি’ হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন কার্তিক মহারাজ। সম্মানহানির চেষ্টায় মুখ্যমন্ত্রী ‘অসত্য’ এবং ‘বিভ্রান্তিকর’ মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের ওই সন্ন্যাসী।
এরপর মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিতর্কের আবহে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়ে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)। তিনি দাবি করেছিলেন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের আশ্রমে হামলা হতে পারে। আশ্রম ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে একটি হুমকি-চিঠিও তিনি পেয়েছেন বলে আদালতে জানিয়েছিলেন কার্তিক মহারাজ। তাই ভোট মিটতেই তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল।
এ প্রসঙ্গে, কার্তিক মহারাজ বলেন, ‘‘আমার আশ্রমে দুহাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। অভিভাবকেরা এই পরিবেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। আমি তাঁদের কথা ভেবে নিরাপত্তার আবেদন করেছিলাম। আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় অভিভাবকেরা খুব খুশি। আমিও খানিকটা আশ্বস্ত। তবে সন্ন্যাসী মানুষ হিসাবে আমার নিরাপত্তাহীনতা কিংবা বাড়তি নিরাপত্তার কোন লালসা নেই।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।