১৯৯২ সালের করসেবার অভিজ্ঞতা শোনালেন কাটোয়ার তপন কুমার পাল...
কাটোয়ার করসেবক তপন কুমার পাল (নিজস্ব ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার তপন কুমার পাল (৭১) করসেবা (Karsevak Katwa) করতে গিয়েছিলেন অযোধ্যায়। সেটা ছিল ১৯৯২ সাল। ট্রেনে সিট মেলেনি, তাই মেঝেতে শুয়েই তিনি পৌঁছন রাম নগরী। সেসময় ব্যাপক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় অযোধ্যায় তারপর থেকে সরযূ দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। হাতে গোনা আর কয়েকটি দিন, রামলালা ফিরবেন মন্দিরে। ২২ জানুয়ারি মহাসমারোহে উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। দেশ-বিদেশের অতিথিরা হাজির থাকবেন বহু প্রতীক্ষিত এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে। তার আগে কাটোয়ার করসেবকের সাক্ষাৎকার দিলেন মাধ্যম-কে।
কেমন লাগছে আপনার? রাম মন্দিরের (Karsevak Katwa) উদ্বোধন নিয়ে কী মত? প্রতিবেদকের এই প্রশ্ন শুনেই করসেবক তপন কুমার পালের উত্তর, ‘‘আমার দারুণ আনন্দ হচ্ছে, এটা সনাতন ধর্মের পুনর্জাগরণ বলা যেতেই পারে।’’ দিনটিকে কীভাবে পালন করতে চান? ‘‘প্রধানমন্ত্রী যেমনভাবে বলেছেন ঠিক সেভাবেই পালন করার কথা ভাবছি। পাড়া প্রতিবেশীদের সামিল করবো এবং বাড়িতে পঞ্চ প্রদীপও জ্বালাবো।’’
কথায় কথায় উঠে এল তাঁর অযোধ্যায় করসেবার কথাও। ভাগ করে নিলেন সেদিনের অভিজ্ঞতা। বললেন, ‘‘কাটোয়া থেকে আমরা ১১-১২ জন গিয়েছিলাম। দুন এক্সপ্রেসে করে গিয়েছিলাম। রিজার্ভ সিট মেলেনি, মনে পড়ে মেঝেতে শুয়েই সেদিন পাড়ি দিয়েছিলাম রাম নগরীতে।’’ করসেবার (Karsevak Katwa) উপলব্ধি ব্যাখা করতে গিয়ে তপন বাবু বললেন, ‘‘এটা আমার জীবনের পরম প্রাপ্তি। এখন আরও ভালো লাগছে যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা অযোধ্যা গিয়েছিলাম আজ তা পূরণ হতে চলেছে। ১৯৯২ সালের সেই সময় উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল অযোধ্যায়। কোনওরকমে ফিরে বর্ধমানে একজায়গায় আত্মগোপন করে ছিলাম। পরে বাড়ি এসেছিলাম। জায়গায় জায়গায় অনেক করসেবক অত্যাচারিত হয়েছিলেন সেদিন। বর্ধমান স্টেশনে আমি নেমে চলে আসার পরেই করসেবকদের ওপর সন্ত্রাস আছড়ে পড়ে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।